এখনও কিন্তু দেশের কৃষকদের মনে আন্দোলনের আগুন জ্বল জ্বল করছে। নতুন কৃষি আইন নিয়ে এখনও মেলে নি কোনও সমাধান। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার তোড়জোড় লাগিয়েছে কেন্দ্র। আর এই কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পেকেই ভোটের আগে মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তারা। আর সেই সূত্র ধরেই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানা জনসভার থেকে মতসজীবিদের উদ্দেশ্যে এক দারুণ বার্তা দিলেন।
যা অনেকটাই কার্যকরী বলে মনে করছে অনেকেই। এদিন তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে এক আশার আলো দেখালেন, তিনি বললেন, ক্ষমতায় আসলেই মৎস্যজীবীদের একাউন্টে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে ৬ হাজার করে টাকা। ইতিমধ্যে বাংলার মোট ৪ লক্ষ মতসজীবি রয়েছে, আর সবাইকেই যে এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে, সেটা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেছেন, শুধু মৎস্যজীবী নয়, এরস আথে এই অঞ্চলের সমস্ত মানুষকেই এই সুবিধা দেওয়া হবে। ক্ষমতায় এলেই খুলে দেওয়া হবে ফুড প্রসেসিং হাব, যার কারণে একেবারে আন্তর্জাতিক মানের চেহারা নেবে গঙ্গাসাগর।
অমিত শাহের কথা শুনে বোঝাই গেল, একেবারে ছক কষে তিনি ভোটের ময়দানে নেমেছেন। নামখানার নারায়ণপুর গ্রামের, সেখানেই পেশাদার মতসজীবিদের বাস, তিনি সেই গ্রামের এক মতসজীবীর বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজনও সেড়েছেন। সুব্রত বিশ্বাস নামে মাছ বিক্রেতা, অতিথি সেবা করে অনেকটাই খুশি। এই ধরনের মাস্টারস্ট্রোক যে আগেও অমিত শাহ করেছেন, সেটা কিন্তু স্পষ্ট।
এখন দেখার বিষয় হল, তৃনমূলের এই শক্ত ঘাটিতে বিজেপি কতটা দাঁত ফোটাতে পারবে, সেটাই এখন দেখার। স্বাভাবিক ভাবেই অমিত শাহের দর্শন পেয়ে গ্রামের সকলেই উচ্ছ্বসিত। অমিত শাহের উপস্থিতি যে তাদের মুখে আগামী ভবিষ্যতের হাসি ফুটিয়েছে, সেটা অনেকেই মনে করছে। কিন্তু ভোটের আগের এই বার্তা, আগামীতে গিয়ে কতটা সত্যি হবে, তা কিন্তু সময় বলবে।।\