একটুখানি অর্থ উপার্জন করে আর পরিবারকে সচ্ছলতার মুখ দেখাতেই তারা কাতারে এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে এসে যে এমন বড় বিপদে পড়তে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তারা। অনেকগুলো মাস কেটে গিয়েছে কিন্তু এখনো তারা কাতারে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
এখন একটু বাড়িতে ফেরার জন্য কাকুতি মিনতি করছেন প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রায় পাঁচ মাস আগে।
আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হয়েছে সফল কিন্তু হাজার হাজার শ্রমিক যারা প্রদীপের নিচে থাকা অন্ধকারের মতন এই সফলতার পিছনে অবস্থান করছেন। তাদের অবস্থার কি আদৌ কোন উন্নতি হয়েছে? মেসিকে কাপ জিতানোর পিছনে যে তাদের অবদান রয়েছে সুস্পষ্ট।
এখনো অনেকেই সে দেশে আটকে পড়ে রয়েছেন। তারা বেশিরভাগ নিরাপত্তা রক্ষী। পাকিস্তানের সাকির উল্লাহো এবং জাফর ইকবাল ও আরো বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেখানে ছয় মাসের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে আটকে রয়েছেন জেলে।
তাদের প্রত্যেকে দু লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে কাতার সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তারা মুখ খুলতে নারাজ। ৯ জন কর্মী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন তাদের সবার চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে অথচ এখনো পর্যন্ত টাকা দেওয়া হয়নি।
তারা জানিয়েছে দেশের শ্রমিক নয় বরং বাইরের শ্রমিক দিয়েই তারা হাড় ভাঙার খাটনি করিয়েছে। এই আন্তর্জাতিক ইভেন্টে এই ঘটনার কথা এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি। তবে কি প্রতিবছর এভাবেই শ্রমিকদের রক্ত জল করে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়?