“দলত্যাগী” এবং দলের বিরুদ্ধে “বেসুরো”দের নিয়ে রাজ্য শাসকদল রীতিমতো জেরবার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে “দলবদল” রাজ্য রাজনীতির এক অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি রাজ্যের বনদপ্তরের ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে তার ইস্তফা পত্র পেশ করেছেন। যদিও তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।
এবার বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই “দলত্যাগী”দের স্বপক্ষে এবং দলের বিরুদ্ধে সওয়াল করছিলেন বৈশালী। দলীয় কর্মীদের “উইপোকা” বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। দলীয় কর্মীদের নিশানা করে তার বক্তব্য, “দলের বেশ কিছু কর্মী উইপোকার মতো দলটাকে কুরে কুরে খেয়ে শেষ করে দিচ্ছেন!”
লক্ষ্মীরতন শুক্ল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বক্তব্য রাখার পরপরেই দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। তাকে বহিষ্কার করার পরেই তৃণমূল দলে খুশির উল্লাস লক্ষ্য করা যায়। অপর পক্ষের দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বৈশালীর বক্তব্য “আমি খুশি”! এমতাবস্থায় বৈশালীর পক্ষেই সওয়াল করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশালী বহিষ্কৃত হওয়ার পর রাজীবের বক্তব্য, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা!”
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, ” দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার মতো কোনো বক্তব্য তিনি (বৈশালী ডালমিয়া) পেশ করেছেন বলে মনে করি না”। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, ” দলে এমন বেশ কিছু সতীর্থ এবং সহকর্মী রয়েছেন যারা প্রায়শই এমন মন্তব্য করে থাকেন। তাদের কাউকে সতর্ক করা হচ্ছে না।” রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “মানুষ সবই দেখছেন, তারাই এর বিচার করবেন!”