হাই ব্লাড প্রেসার, সুগার এবং কোলেস্টেরল এই তিনটি আজকাল খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক জীবনযাত্রা, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, এই সবের জন্যই মানুষ আরো বেশি করে এ জাতীয় রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বহুলাংশে বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়ে। হার্ট অ্যাটাক একটি ভীতিকর বিষয়।
যার একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায় তাকে প্রায় সারাজীবনই বেশ সতর্কভাবে জীবনযাপন করতে হয়। যে কেউ যেকোনো সময় এর শিকার হতে পারেন।
আরো পড়ুন: OMG: একই বিভাগের ১০ জ’ন নার্স ও এক চিকিৎসক অ’ন্তঃ’স’ত্ত্বা একসঙ্গে!
যেহেতু হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক, তাই হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণগুলো যদি আগে থেকে জানা থাকে তাহলে একটি জীবন বাঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব। আজকের প্রতিবেদন হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ বিষয়কে কেন্দ্র করেই।
তবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ জানার আগে তার কারণ জানা খুব জরুরি। সাধারণত হৃদপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে বা রক্ত চলাচলের শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ব্লক হলে হার্ট অ্যাটাক হয়।
এক মাস আগে থেকেই দেহ হার্ট অ্যাটাকের কিছু সতর্কতা সংকেত দিতে শুরু করে। আজকে সেরকমই কিছু লক্ষণের কথা আপনাদের জানাতে চলেছি। লক্ষণগুলো বুঝতে পারলে যত শীঘ্র সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
১. অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক দুর্বলতা: রক্তপ্রবাহ কমে গেলে বা রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হয়। রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে চর্বি জমে বাধা সৃষ্টি করলে এবং মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়লে হৃদরোগের প্রধানতম এই লক্ষণটি দেখা দেয়।
২. শ্বাসকষ্ট: ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন এবং রক্ত সরবরাহ না হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। হার্টের সমস্যা থাকলে ফুসফুসে রক্ত চলাচল কমে যায়। আর শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস ছোট হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা যায়।
৩. বুক ব্যথা: বুক, বাহু, পিঠ এবং কাঁধে ব্যাথা অনুভূত হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বুকে ব্যথা এবং সংকোচন হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতার একটি বড় লক্ষণ।
আরো পড়ুন: ছেলে এখন সুপারস্টার, ত’বে এখনো বাস চালিয়ে আ’য় করেন যশের বাবা
৪. ঝিমুনি: দেহে এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনি দেখা দেয়।
৫. ঠাণ্ডা বা ফ্লু: হার্ট অ্যাটাকের শিকার এমন অনেককেই এক মাস আগে থেকে ঠাণ্ডা-সর্দি বা ফ্লু-তে ভুগতে দেখা গেছে।
৬. বমি, বদহজম, তলপেটে ব্যথা: বমিভাব, বদহজম, বুক হৃৎপিণ্ডে জ্বালাপোড়া করা বা তলপেটে ব্যথাও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেও হৃদরোগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৭. ঠাণ্ডা ঘাম: শরীরে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে দেহে ঘাম ঝরে, আর তখন স্যাঁতসেতে ও ঠাণ্ডা ভাব অনুভূত হয়।