সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভারতের সবথেকে “ভুতুড়ে” জা’য়’গা কোনগুলি? রা’তে এ’কা যাওয়ার সা’হ’স পা’বে’ন না! জানুন

ভূতে বিশ্বাস থাক বা না থাক ভূতের গল্প শুনতে কিংবা ভূতের সিনেমা দেখতে আমোদ অনুভব করেন অনেকেই। তবে জানেন কি ভারতবর্ষে এমন বেশ কিছু স্থানে রয়েছে যেখানে কি সত্যিই তেনাদের আগমন ঘটে? এমনটাই বিশ্বাস করেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। ভারতবর্ষে এমন বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে যে জায়গাগুলিকে ভুতুড়ে এলাকা বলেই দাবি করেন সাধারণমানুষ। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের এমন কিছু ভুতুড়ে স্থান সম্পর্কে।

মহারাষ্ট্রের মুম্বাই শহরের বুকে রয়েছে ডি’সুজা চল। শোনা যায় এখানে এক মহিলা নাকি পাতকুয়োয় পড়ে মারা গিয়েছিলেন। সেই থেকে তার আত্মা ঘুরে বেড়ায় এই স্থানে। এমনটাই বিশ্বাস সাধারণের। দিল্লি শহরের বুকে রয়েছে অগ্রসেন কি বাওলি। এটি একটি পর্যটন স্থল। পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন যে তারা যখনই এই স্থানে ঘুরতে গিয়েছেন তখন তাদের মনে হয়েছে পেছন থেকে যেন কেউ তাদের অনুসরণ করেছে। ভীষণ অস্বস্তিকর সেই অনুভূতি।

উত্তরাখণ্ডের লম্বি দেহার খনিতে একসময় দুর্ঘটনার জেরে বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি আজ রাতের বেলা ওই খনি এলাকা থেকে সেই মৃত শ্রমিকদের আর্তনাদ শোনা যায়। আসামের জাতিঙ্গা সত্যি সত্যিই রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা। কারণ এই স্থানে আকাশে কোনো পাখি উড়ে বেড়াতে পারে না। আকাশের পাখির দল এই স্থানে পৌঁছলে মৃত অবস্থায় ঝরে পড়ে। তার কারণ এখনো অজানা। অনেকেই মনে করেন ভুতুড়ে প্রভাব থেকেই এমনটা ঘটে।

গুজরাটের দুমা সৈকতও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এক সময় এই সৈকত শ্মশান ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস, আজও এই পরিত্যক্ত শ্মশানে মৃতদের আত্মা ঘুরে বেড়ায়। কার্শিয়াংয়ের ডাউহিলে দুটি স্কুল এবং তার সংলগ্ন এলাকাকে কেন্দ্র করেও ভূতের গল্প প্রচলিত আছে। এই এলাকার আশেপাশে অভিশপ্ত আত্মাদের বাস বলেই দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাত হলেই যারা বাইরে বেরিয়ে আসে!

জানলে হয়তো অবাক হবে মুম্বাইয়ের বোম্বে হাইকোর্টেও ভূতের উপদ্রব রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। এখানে বহু অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির কাঠে ঝোলানো হয়েছে। সেই মৃত অপরাধীদের আত্মা হাইকোর্টে ঘুরে বেড়ায় বলেও গুঞ্জন রয়েছে।তেলেঙ্গানার শুটিং স্থল রামোজি ফিল্ম সিটিতেও ভূতের উপদ্রব টের পাওয়া যায়। বিনা কারণে মাঝে মাঝে এখানে আলো নিভে যায়, আয়না ভেঙে পড়ে। এই এলাকার মাটির নিচে মৃত সৈনিকদের কবর রয়েছে। সেই কারণেই এমনটা ঘটে থাকে বলে দাবি সাধারণ মানুষের।

রাজস্থানের ভানগড় কেল্লাকে নিয়ে রহস্যের কিনারা আজও সম্ভব হয়নি। ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ রাত্রিবেলা এই স্থানে কারকে প্রবেশের অনুমতি দেয় না। এই কেল্লায় একবার ঢুকলে বেরিয়ে আসার পথ নেই। শোনা যায় ভ্যানগড় কেল্লার রাজকুমারী এবং এক তান্ত্রিকের অসম্পূর্ণ প্রেম কাহিনী কেল্লাকে আজও অভিশপ্ত করে রেখেছে।