নতুন বছরের শুরুতেই ভারতে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবিষ্কৃত কোভিশিল্ড এবং ভারতে আবিষ্কৃত কো-ভ্যাকসিনের আপৎকালীন অনুমোদনের ছাড়পত্র মিলেছে। এই দুটি ভ্যাকসিন অনুমোদনের পরেই ভারতের ঔষধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আগে ভারতের প্রত্যেক বাসিন্দা করোনার টিকা পাবেন। তারপরেই অতিরিক্ত টিকা বিদেশে রপ্তানি করা হবে। সেরাম কর্তার এহেন বক্তব্যে স্বভাবতই রাতের ঘুম উড়েছে ভারতের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলির।
বিশেষত ব্রাজিল কিন্তু বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসানরো তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো ব্রাজিলে এখনো সেভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি চালু করতে পারেননি। এমতাবস্থায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনের প্রতি সম্পূর্ণ দৃষ্টি রয়েছে। ভারতের থেকে তাই এই ভ্যাকসিন পেতে এবার কূটনৈতিক পথে হাঁটছে ব্রাজিল। সূত্রের খবর, করোনার টিকা পেতে দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছেন ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট।
ব্রাজিলের অ্যাসোসিয়েশন অফ ভ্যাকসিন ক্লিনিক ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত কোভিশিল্ডের অন্তত ২০ লক্ষ ডোজ আমদানি ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফাইজারের টিকা নিয়ে কিন্তু ব্রাজিলের এত আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষত ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা সম্বন্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসানরো। এখন তিনিই যেনতেন প্রকারেণ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির টিকা হাতাতে ব্যস্ত।
ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদনের পর সেই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ বলসানরো। তার বক্তব্য ছিল, এই টিকা প্রদানের পর টিকা গ্রহণকারীর শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার দায়ভার নেবে না সংস্থা। এ প্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “টিকা নেওয়ার পর পুরুষেরা যদি তাদের কণ্ঠস্বর বদলে কথা বলতে শুরু করেন, মহিলাদের যদি দাড়ি-গোঁফও গজায়, এমনকি টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি যদি কুমিরে পরিণত হয়ে যান, তবুও তার দায়ভার নেবে না ফাইজার সংস্থা!” এমতাবস্থায় অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে তার আগ্রহ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে।