কলকাতা পুরভোটে বাকি থাকা পৌরসভা গুলিতে দ্রুত এবং কম দফায় ভোট করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, কলকাতা পুরভোটে স্থগিতাদেশ নয়। বকেয়া পুরভোট যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। বকেয়া পুরভোট গুলিতে কবে ভোট হবে তা আগে থেকে আদালতকে জানাতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে এটাই কাম্য।
কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছেন, কলকাতা পৌরভোটের নির্বাচনগুলি বেশি দেরি করা যাবে না। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে নির্ঘণ্ট মেনে নির্বাচন করতে হবে। এই নির্বাচনের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। এই মামলার আগামী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৩ শে ডিসেম্বর। ঐদিন সরকার এবং কমিশনের তরফ থেকে আদালতে জানানো হতে পারে কবে এবং কত দফায় নির্বাচন গুলি করা হবে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দুই বছর ধরে মানুষের নির্বাচনের অধিকারকে আটকে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় ৫-৭ ফেজে কেন বিধানসভা হয়েছে তা নিয়ে অনেক কথা উঠেছিল। আজ মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেবে তাও আবার এতগুলি ফেজে? এটা শাসকের পরিচয় হতে পারে না।
কংগ্রেস নেতা অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছেন, যা যা চেয়েছিলাম তাই হাইকোর্ট বলেছেন। আমরা চাইনি পুরভোট বন্ধ হয়ে যাক। আমাদের দাবি ছিল বিভিন্ন জায়গায় অনেক বেশি সময় ধরে নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। পুরো প্রশাসকের আইনগত মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে পৌর প্রশাসক বসিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এককথায় এটি একটি অসাধারণ রায়। আমরা খুব খুশি এই রায় শুনে।
তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, আমরা এটাই চাইছি। যারা মুখে এক কথা বলে আর কাজে অন্য কথা বলে তারা আসলে ভোট চায় না। ভোট হলেই আসল চিত্র টি সামনে বেরিয়ে আসবে। বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে ভোটের জন্য। সাবধানতা অবলম্বন করে এবার তাড়াতাড়ি ভোট সম্পন্ন করতে হবে আমাদের। ইতিমধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছি।