সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্বামীকে কিছু জা’ন’তে না দিয়ে প্রেমিককে নিয়ে একই বাড়িতে ১০ বছর কা’টা’লে’ন স্ত্রী

গল্পের বইতে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প আমরা প্রায়ই পরে থাকি কিন্তু বাস্তবিক জীবনে এমনও কিছু গল্প থাকে যা যেকোনো কাল্পনিক গল্পের কাহিনীকেও হার মানায়। এই গল্পটি হলো একটি জার্মান মহিলার গল্প যাঁর নাম ওয়ালবুর্গা ওয়েসটেরেইচ। ডাকনাম ডলি। এই ডলির জীবন ছিল বেশ বিচিত্র অন্য আর পাঁচটা মানুষের থেকে। এই ডলি স্বভাবে ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী ও চালাক এক মহিলা। তাঁর জন্ম একটি গরীব পরিবারে হলেও তাঁর জীবন কেটেছে বিলাস বহুল ভাবেই।

একে বুদ্ধিমতী আবার রূপের দিক থেকেও ছিলেন যথেষ্ট সুন্দরী বা আকর্ষণীয় বলা চলে।তিনি একটা কাপড় কলে কাজ করতেন। আর সেখানেই অনেক পুরুষ তাঁর রূপে আকৃষ্ট হতো। ঠিক তেমনি ওই কাপড় কলের ওনার ও আকৃষ্ট হন। উইলিয়াম নামের ওই আমেরিকান ভদ্রলোক তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে রাজি হয়ে যায় ডলি।

কিন্তু ডলির জীবন টা বদলে যায় আরো কিছু বছর পর থেকে। যখন ডলির বয়স ৩৩। তাঁর সাথে আলাপ হয় তাঁর থেকে ১৭ বছরের ছোট এক যুবক ওট্টোর সাথে। সে ওই কাপড় কলে সেলাই এর কাজে লেগেছিল। কিন্তু একদিন উইলিয়াম মেশিন খারাপ হওয়ার জন্য তাঁকে বাড়িতে পাঠালে ডলির সাথে দেখা হয় ওট্টোর। তাঁর প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। তাঁর পর থেকে প্রায়ই ওট্টো ডলির বাড়িতে আসতে থাকতেন। প্রতিবেশীদের কাছে পরিচয় দিতেন দুর সম্পর্কের ভাই বলে।

আরো পড়ুন: গরুর সামনে Reels ভিডিও করতে বি’প’ত্তি, উ’ল্টে পড়লেন যুবতী, নি’মি’ষে ভাইরাল

কিন্তু তাতেও তাঁরা সন্দেহ করছেন বুঝে তিনি একটা কাণ্ড করেন। ডলি ওট্টোকে ওর বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে লুকিয়ে রাখেন। আর শুনলে সকলেই অবাক হবে যে দীর্ঘ ১০ বছর সেখানে লুকিয়ে ছিল ওট্টো। আর স্বামী উইলিয়াম সেই ব্যাপারে কিছুই জানতে পারেনি। রাতে ওট্টো ওখানেই থাকত আর সকালে উইলিয়াম বেরিয়ে গেলে নিচে নেমে আসত। এভাবেই দিন কাটছিল তাঁদের।

আর এতটাই ডলির প্রেমে পাগল ছিল ওট্টো যে এই সব কিছুতে সে নির্বিঘ্নে থেকে গিয়েছিল। কিন্তু বাঁধ সাধলো যখন লস অ্যাঞ্জেলেস এ চলে গেলো ডলি আর উইলিয়াম। তবে সেখানেও সে ওট্টোকে রাখার ব্যাবস্থা করে ফেলে। কিন্তু এক রাতে স্ত্রী ডলির সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুনে পিস্তল হাতে নীচে নেমে আসেন ওট্টো। উইলিয়ামকে গুলি করে খুন করেন তিনি। পুলিশের কাছে ঘটনাটিকে ডাকাতির রূপ দিয়েছিলেন ডলি।

কিন্তু পরবর্তীকালে যে আইনজীবী ওই কেস লড়ে তাঁর প্রেমেই পড়ে যায় ডলি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়না। কিছুদিনের মধ্যেই রয় বলে আরো একজনের প্রেমে পরে ডলি। আইনজীবী তাঁর এরকম প্রবৃত্তির কথা আন্দাজ করে খোঁজ লাগায় আর জানতে পেরে যায় ডলি তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। রয় সব জানতো সেই বলে দেয়। এরপর ওই আইনজীবী ডলিকে শাস্তি দেয়।

জেলে যায় ডলি। পরে ওট্টোর ব্যাপারেও জানতে পারেন ওই আইনজীবী। ওট্টো সবই জানায়। তার পর ওট্টোর ও শাস্তি হয়। এবং জেল থেকে বেরিয়ে শেষ জীবনটা দুজন আলাদা আলাদা ভাবেই কাটায়। ডলি ৮০ বছর বয়সে শেষ পর্যন্ত একলা থেকেই মারা যায়। আর তাদের এই ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী নিয়ে অনেক মুভি ও হয়।

‘দ্য ব্লিস অব মিসেস ব্লসম’, ‘দ্য ম্যান ইন দ্য অ্যাটিক’। ২০১৭ সালে ইনভেস্টিগেশন ডিসকভারির ‘এ ক্রাইম টু রিমেম্বার’ সিরিজে ডলি এবং ওট্টোর কাহিনিই তুলে ধরা হয়েছে।