শ্বেতী এই রোগটার সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। এই রোগ যে কখন কার শরীরে হবে তা কেউ বলতে পারেন না। আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই। একবার যদি শরীরে বাসা বাধে এই রোগ তবে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেন মানুষ।
ত্বকের রং তৈরিতে সাহায্যকারী মেলানোসাইট কোষে থাকা মেলানির নামক এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ শরীরে একপ্রকার এন্টি বডি তৈরি করে ত্বকের রং পরিবর্তনের সাহায্য করে। এর অতিরিক্ত প্রভাবে ত্বক তার স্বাভাবিক রং হারিয়ে ফেলে। অনেক সময় চুল এবং গায়ের লোম সাদা হয়ে যায়। এমনকি চোখের মনি সাদা হয়ে যায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার থেকে এই রোগ হতে পারে। হেয়ার ডাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। এতে পি ফেনীলেনেডিয়ামাইন অর্থাৎ শ্বে’তী রোগ ডেকে আনতে পারে। এছাড়া ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন ক্রিম ক্ষতিকর রাসায়নিক সানস্ক্রিন ডিটারজেন্ট করা অ্যান্টিসেপটিভ ক্রিম ব্যবহার করলেও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যাদের ত্বক একটু বেশি সেনসিটিভ তাদের এই ধরনের রাসায়নিকের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারে না। ওষুধ এবং অপারেশন দুই ভাবে এই রোগের প্রতিকার হতে পারে। ত্বকের সাধারণ রঙ ফিরিয়ে আনতে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ এবং ক্রিম দেওয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ফটো থেরাপি করানো হয়। রোদে দাঁড়িয়ে অতি বেগুনি রশ্মি গায়ে লাগানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা। তবে ওষুধ খাওয়ার পরেও ঠোঁট এবং আঙুলের গোড়ায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তখন স্কিন গ্রাফটিং করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা বেশিক্ষণ সূর্যের আলো কাছে থাকবেন না। রোদ যাতে গায়ে না পড়ে সেই ভাবে জামা কাপড় নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত যোগাসন করলেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে না শরীরে। তবে প্রথম থেকে যদি ঠিক মত চিকিৎসা না করা হয় তবে এই রোগের প্রতিকার করা খুবই মুশকিল।