আফগানিস্তানে চলছে নতুন শাসক তালিবানদের রাজত্ব। গত বছর আগস্ট মাসে তারা আফগানিস্তান পুনর্দখল করে। তবে আফগানিস্তান দখলের পর তালিবানরা জানিয়েছিল, তারা বদলে গিয়েছে। কিন্তু সময় তা বলেনি। যত দিন গেছে তত সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে আফগানিস্তানবাসী। জেহাদিরা সেই আগের মতোই নিষ্ঠুর রয়েছে। জেহাদিদের রাজত্বে অশিক্ষার অন্ধকার গ্রাস করছে আফগানিস্তানকে।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেহাদি সংগঠনটি। কর্মক্ষেত্রেও মহিলাদের উপর বাধানিষেধ জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করলে আক্রমণ নেমে আসছে সংবাদমাধ্যমের উপর। অত্যাচারের এহেন সব ঘটনা তুলে ধরার ‘অপরাধে’ এবার সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়েছে তালিবানরা। সংবাদমাধ্যমকে জেহাদিরা রীতিমতো হুমকি দিয়েছে ইসলামি শাসন মেনে কাজ করার জন্য।
আরো পড়ুন: কি খবর পেট্রোল ও ডিজেলের? জ্বালানির দ’র কি বা’ড়’বে না’কি?
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছেন, “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতর পক্ষেই ইসলামিক আমিরশাহী (তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান)। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকেও নিরপেক্ষ হতে হবে। তাদের ইসলাম ও দেশের মূল্যবোধ মেনে চলতে হবে।
আমরা সমস্ত বাধা সরিয়ে দিতে চাইছি এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন সংশ্লিষ্ট আইন মেনে চলে।” তবে বিশ্লেষকরা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রথম থেকেই ইসলামের নামে সংবাদমাধ্যমগুলিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবানরা আর এবার তো আইনের ফাঁদে ফেলে সাংবাদিকদের আরও হেনস্তা করবে জেহাদিরা।
আরো পড়ুন: শীত নিয়ে এ কেমন বা’র্তা দিলো আবহাওয়া দপ্তর! তাপমাত্রা ক’ম’বে না গরম বা’ড়’বে?
গতবছর আফগানিস্তানে সংবাদমাধ্যমের সার্বিক অবস্থা নিয়ে ‘রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ‘আফগান ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ যৌথ উদ্যোগে যে সমীক্ষাটি হয়েছিল সেখানে জানা যায়, গ্রীষ্মকালের শুরুতে আফগানিস্তানে ৫৪৩টি সংবাদ মাধ্যমের অফিস ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শেষে মাত্র ৩১২টি কাজ করছে।
আরো পড়ুন: কা’জ পাওয়ার জ’ন্য অনেক ছেলেরাও বিছানায় যা’য়: একতা কাপুর
মাত্র তিন মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৪৩ শতাংশ মিডিয়া আউটলেট। তালিবানের কাবুল দখলের পর ২৩১টি সংবাদ সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সাথে ৬ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন। আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক স্তম্ভের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।
