গোগরা হটস্পিং এর পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে অবশেষে পিছু হটল ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনী। সেনা আধিকারিকেরা জানিয়েছেন ওই এলাকাতে যে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনাপ্রদ্ধারের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আগামী দিনে যৌথভাবে ওই এলাকা খতিয়ে দেখবে ভারত এবং চীন। এমনটাই জানানো হয়েছে।
২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের পর এই নিয়ে চতুর্থবার পিছু হটলো ভারত এবং চীন। ওই পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়ার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘাতপূর্ণ এলাকার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে এবার। এই সমস্ত এলাকা নিয়ে এখনো দুই পক্ষের জট কাটেনি। গত জুলাই মাসের 16 তম সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পাঁচ দিনের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। এর আগে তিনবার পূর্ব লাদাখে সীমান্তের সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর আগে যখন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয় তখন ওই এলাকা থেকে দুই থেকে চার কিলোমিটারের মধ্যে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছিল। এক্ষেত্রেও তেমনি কিছু করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: ২০০০ টা’কা’র নোট ছা’পা’তে শুধু ৪ টা’কা খরচ হয়! কি বলছে রিজার্ভ ব্যাংক?
এই বিষয়টি নিয়ে এখনো সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য হয়নি। বিষয়টিকে নিয়ে মিলিটারি অপারেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিনোদ ভাটিয়া জানিয়েছেন আলোচনা সঠিক পথে এগোচ্ছে। বাকি যে জায়গা গুলিতে সমস্যা রয়েছে সেখানে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে তিনি মনে করেন।