ভারতবর্ষে একমাত্র এক টাকার নোট ছাপায় অর্থমন্ত্রক। বাদবাকি সমস্ত নোট ছাপানোর দায়িত্ব থাকে রিজার্ভ ব্যাংকের উপর। ২০২০ সালের হিসেব অনুসারে ২০০০ টাকার নোট ছাপানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার খরচ হয়েছে মাত্র তিন টাকা ৫৪ পয়সা। অর্থাৎ ভারতবর্ষে চার টাকারও কমে ছাপানো যায় দু হাজার টাকা মূল্যের নোট। অন্যান্য নোট ছাপাতেও কিন্তু খরচ নিতান্তই সামান্য।
৫০০ টাকার নোট ছাপানোর জন্য নোট পিছু ২ টাকা ৯৪ পয়সা খরচ হয় রিজার্ভ ব্যাংকের। ২০০ টাকার নোট ছাপাতে কিন্তু খরচটা একটু বেশি হয়। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ২০০ টাকার নোট ছাপিয়ে বের করে আনতে ২ টাকা ৯৩ পয়সা খরচ হয়। এক থেকে দুই হাজার টাকার নোট সবই রিজার্ভ ব্যাংক মারফত বাজারে আসে।
সাধারণের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা আছে এই যে রিজার্ভ ব্যাংক যখন খুশি যেমন খুশি ইচ্ছে মতো নোট ছাপাতে পারে। তবে আদতে কিন্তু তা সত্যি নয়। নিয়ম অনুসারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে অংকের নোট ছাপায় তার সমান সম্পত্তি তার কাছে গচ্ছিত রাখতে হবে। ২০০ কোটি টাকার নোট ছাপানোর জন্য শীর্ষ ব্যাংককে ১১৫ কোটি টাকার মূল্যের সোনা ৮৫ কোটি টাকার মূল্যের বিদেশী মুদ্রা গচ্ছিত রাখতে হয়।
আরো পড়ুন: চলন্ত মেট্রোর উপর যুবকদের স্টা’ন্ট! ভিডিও ভাইরাল হতেই হ’ত’বা’ক নে’ট দু’নি’য়া
ভারতের বিভিন্ন মূল্যের নোট ছাপানোর জন্য কেমন খরচ হয় তা রিজার্ভ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্টে জানা যায়। যেকোনো মূল্যের এক একটি নোট ছাপানোর জন্য কতো খরচ হচ্ছে তা সেখান থেকে জানা যাবে। কয়েন তৈরি হয় মুম্বাই হায়দ্রাবাদ কলকাতা এবং নয়ডাতে। রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেস রয়েছে কর্নাটকের মাইসুরু এবং পশ্চিমবঙ্গের শালবনিতে। আর সরকারের প্রেস রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাসিক এবং মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে।