সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

G7-র ক’থা মানলেই তেল বি’ক্রি ব’ন্ধ করা হবে, দেশগুলিকে এক কথায় হু’ম’কি পুতিনের

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো স্তব্ধ হয়নি। জি ৭ ও তাদের সহযোগী দেশগুলি রাশিয়ায় খনিজ তেলের সর্বোচ্চ মূল্য বেধে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এবার রাশিয়া ঘোষণা করেছে পশ্চিমী দেশগুলির কথা অনুযায়ী রাশিয়ার তেলের প্রাইস ক্যাপ মেনে নেবে তারা। তেল রপ্তানির উপর তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। বলা ভালো বছরের শেষের দিকে উল্টো চাল চালছে রাশিয়া।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জি ৭ এবং ইউরোপীয় দেশগুলির নির্ধারিত মূল্যে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দেয় ভারত। ভারতের এই সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছিল রাশিয়া। যে সকল দেশ বেঁধে দেওয়া মূল্যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে চাইছে এবার তাদের জন্য কড়া বার্তা দিল পুতিনের সরকার।

রাশিয়ায় তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার ফলে মাত্র ৭ দিনে ডলারের তুলনায় রুবেলের দাম ৮% কমে গেল। তেল রপ্তানি জেরে এবার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে রাশিয়ায়। তাই নিজেদের দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে বাঁচাতে এবার নতুন পন্থা অবলম্বন করেছেন পুতিন।

আরো খবর: ২৩-এ আ’র্থি’ক ম’ন্দা থেকে মুক্তি মি’ল’বে বিশ্বের? ভারতের জন্য কি রয়েছে নতুন ব’ছ’রে? কি ব’ল’ছে জ্যোতিষ?

এক উচ্চস্তরীয় বৈঠকের মাধ্যমে তিনি ঘোষণা করেছেন কেউ যদি ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে জি সেভেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী রাশিয়া থেকে তেল কিনতে চায় তবে সেই দেশের জ্বালানি তেল রপ্তানির উপর জারি করা হবে নিষেধাজ্ঞা। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে জুনের প্রথম পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই বিক্রি।

ইইউ জি সেভেন এবং অস্ট্রেলিয়ার রাশিয়ার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলার।ইউরোপের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ হলো রাশিয়া। এক্ষেত্রে সৌদি আরব ইসরাইল বাহরাইন দেশের পরেই নাম আসে রাশিয়ার।

তবে পুতির এর ইচ্ছে এবার পশ্চিমী দেশগুলিকে নয় বরং ভারত এবং চীনকেই তারা তেল বিক্রি করবে। রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কিনেছে তুরস্ক ভারত এবং চীন। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারত ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১৬.৩৫ মিলিয়ন টন তেল কিনেছে রাশিয়া থেকে।