পকেটে টাকার টান! অথচ সিগারেট টানতেই হবে। বড়জোর একটা বা দুটো সিগারেট কেনার টাকা রয়েছে। কিন্তু না এবার ইচ্ছে করেই দোকান থেকে গিয়ে সিঙ্গেল সিগারেট কিনতে পারবেন না। কারণ সিঙ্গেল সিগারেটের উপর রাশ টানছে কেন্দ্র। সম্প্রতি এমনই সুপারিশ করেছে সংসদে স্থায়ী কমিটি। সিঙ্গেল সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ হতে চলেছে গোটা দেশে। সংসদে স্থায়ী কমিটিতে বলা হয়েছে বাজারে খুচরো সিগারেট বিক্রি করা যাবেনা। কারণ তামাক নিয়ন্ত্রণ অভিযানে জোর দিয়েছে কেন্দ্র।
আর সিঙ্গেল সিগারেট সেই অভিযানের পরিপন্থী। তাই কমিটির তরফে জানানো হয়েছে কিনতে গেলে গোটা প্যাকেট কিনতে হবে। এমনকি দেশে বিমানবন্দরে স্মোকিং জোন বন্ধ করে দেওয়া হবে অবিলম্বে। স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে জানানো হয়েছে সিঙ্গেল সিগারেট বিক্রি এবং উৎপাদন বন্ধ করা হবে। তিন বছর আগেই কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী নিষিদ্ধ করে ই সিগারেট। আইন প্রণয়ন করা হয় ই সিগারেট বিক্রির ক্ষেত্রে। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে সরকার।
সংসদে স্থায়ী কমিটি অর্থাৎ লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা যেখানে রয়েছেন সেখানেই এই প্রস্তাব পেশ করা হয়। কমিটির তরফে সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে জিএসটি কার্যকর হওয়ার পরেও তামাক জাত পণ্যের উপর কোন কর বাড়ানো হয়নি। IARC রিপোর্টে জানানো হয়েছে অ্যালকোহল ও তামাক সেবন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই মানুষের সুবিধার্থে রাশ টানতে হবে এর বিক্রিতে।
আরো খবর: নকশালবাড়িতে হাতির হা’ম’লা’য় আহত এক যুবক
জি এস টি কার্যকর হওয়ার পর ভারতে বিড়ির ক্ষেত্রে ২২ ও সিগারেটের ক্ষেত্রে ৫৩ শতাংশ কর ধার্য করা হয়। এমনকি ধোয়াহীন তামাক জাতীয় দ্রব্যের উপর ৬৪ শতাংশ কর আরোপ করা হয়। কিন্তু তারপরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ভারত সরকারের কাছে তাদের আর্জি তামাক জাতীয় পণ্যের উপর ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে হবে।
প্রসঙ্গত সিগারেটের কারণে প্রতিবছর ভারতে ৩.৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আমেরিকায় সংখ্যা ৪ .৮ লাখ। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে থাকে নিকোটিন। তাই সমীক্ষা অনুযায়ী কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিতেই এমন ভাবনা ভারত সরকারের।