সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিমানচালকদের সং’খ্যা’য় আমেরিকা-ব্রিটেনের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারতের মহিলারা, কারণটা কি?

সমাজ বদলেছে, বদলেছে সমাজের পরিকাঠামো। সমাজ পুরুষতান্ত্রিক হয়ে থাকলেও নারীদের সাফল্য আজ সমাজের দোরগোড়ায়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য বিচার যদি করতে হয় তাহলে গোটা বিশ্বের মধ্যে ১৪৬ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান রয়েছে ১৩৫ । তবে, অন্যান্য দেশে থেকে এই বিষয়ে পিছিয়ে থাকলেও ভারতে বিমান সংস্থাগুলিতে কিন্তু নারীরা নিজেদের সাফল্যকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হচ্ছে।

ভারতের বিমান চালকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গেছে ভারতে নারী বিমানচালকের পরিমাণ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আমেরিকাতে মহিলা পাইলট রয়েছে ৫.৫ শতাংশ অন্যদিকে বৃটেনের রয়েছে ৪.৭ শতাংশ। দুইটি দেশকে কিন্তু একেবারেই পিছনে ফেলে এই দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত কারণ ভারতে এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহিলা বিমান চালক রয়েছে ১২.৪ শতাংশ বিমান সংস্থার এই পরিবহন ব্যবস্থার রূপ একেবারে বদলে গিয়েছিল ১৯৮৯ সালের একটি ঘটনায়।

এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার বিমানচালক জোয়া আগারওয়াল জিনিস সানফ্রান্সিসকো থেকে পাঁচ দিন বিমান চালিয়ে ব্যাঙ্গালুরুতে পৌঁছেছিলেন। ওই বিমানটির সকল সদস্যই মহিলা ছিল এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছিল। এই ঘটনাটির ওপর ভিত্তি করে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিল এবং যেখানে তিনি জানিয়েছিল টানা পাঁচদিন ধরে একজন মহিলা যখন বিমান চলে আসে, তার পিছনে মূল কারণ থাকে তার পরিবার।

আরো পড়ুন: উদয়পুরে খু’ন হওয়া হিন্দু দর্জির দোকানের সামনে মহরমের তাজিয়ায় আ’গু’ন, নি’ভি’য়ে দিলো হিন্দু পরিবারই

পরিবারের দায়িত্ব যখন মাথার উপর থাকে তখন সমস্ত চিন্তা মুক্ত হয়ে কাজ করতে হয়। শুধুমাত্র তিনি একাই নয় আরো অনেক মহিলা পাইলটের একই বক্তব্য যে তার কাজের পিছনে রয়েছে তার পরিবার। একজন মহিলা যে বিমানচালকের পেশায় এসে ও রোজগার করতে পারে সে বিষয়ে ধারণা অত্যন্ত কম ভারতীয়দের এই বিষয়ে দাবি করে জানিয়েছেন এয়ার বিমান সংস্থা ও হরপ্রীত এ দে সিংহ।

তিনি সমাজের এই ভাবমূর্তিকে বদলে দিতে চেয়েছিলেন তিনি স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝাতেন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বিষয়ে এমনকি মহিলারা কোন পদের জন্য আবেদন করবেন সেই বিষয়েও হরপ্রীত সকলকে সাহায্য করতেন। হরপ্রীতির দাবি, বহুদিন ধরে তিনি চেষ্টা করে অবশেষে দেখেছেন যে মহিলারা বিমানচালকের পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করছেন।

তবে বিমান চালকের চাকরি দেয়ার জন্য তার আগে প্রশিক্ষণটা যথেষ্ট খরচের ওপর নির্ভর করে তবে এই ক্ষেত্রেও সরকার এগিয়ে এসেছিল। সরকারের তরফ থেকে ভর্তুকি চালু করা হয়েছিল এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। এই বিষয়ে এগিয়ে ছিল হোন্ডা মটরস কোম্পানি এই কোম্পানি ১৮ মাসের কোর্স সম্পন্ন প্রশিক্ষণের জন্য একটি বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করেছিল।

এমনকি এই প্রশিক্ষণ নেওয়া কালীন কোন মহিলা যদি কোনরকম সমস্যা না হয় সেই বিষয়েও দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই সংস্থা। বর্তমানে ভারতের সবথেকে বড় যাত্রীবাহী বিমান সংস্থা হল ইন্ডিগো ইন্দিগো তরফ থেকেও নেওয়া হয়েছিল কিছু পদক্ষেপ।

যে সমস্ত মহিলা কর্মীরা অন্তঃসত্ত্বার থাকতেন তাদের ২৬ মাসের ছুটি সহ পুরো বেতন দিতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে ১৮৮৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে আমেরিকার বিমান দুর্ঘটনা গুলির ক্ষেত্রে যেখানে ১০ শতাংশের মধ্যে ৩% দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিমান মহিলা পাইলট। এই বিষয়ে এমব্রি রিডল এরোনোটিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হলে রান জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে পুরুষদের তুলনায় মহিলা পাইলট অনেক বেশি সতর্ক থাকে যার কারণে দুর্ঘটনা অনেক কম হয়।