একদিকে যেখানে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে সর্বদা দন্ধ লেগে রয়েছে সেখানে এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি দেখা গেল যা দেখে আরো একবার হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতির কথা সামনে উঠে এলো। বিজেপি নেতৃৎপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর খুন হয়েছিলেন দর্জি কানহাইয়া লাল।
এবার সেই এলাকাতেই দেখা গেল অন্যরকম একটি ছবি। মুসলিম সম্প্রদায়ের মোহরমে শোভাযাত্রায় একটি বড়সড় ক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো কিন্তু তা আটকে দিল হিন্দু পরিবার। ঠিক কি ঘটেছিল চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদয়পুর শহরে বের হয়েছিল একাধিক মহরমের শোভাযাত্রা। দর্জি কানহাইয়া লালের দোকান ছিল যে রাস্তায়, সে রাস্তাতেও বেরিয়েছিল শোভাযাত্রা। শোভা যাত্রার মধ্যে ছিল ২৫ ফুট উঁচু একটি তাজিয়া। বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপভোগ করছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই তাজিয়াতে আগুন লেগে যায়।
আরো পড়ুন: রাজ্যগুলোর করের ভা’গ ব’রা’দ্দ করলো কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গের জন্য কতটা অর্থ ব’রা’দ্দ হলো?
নিচে শোভাযাত্রায় যারা ছিলেন তারা ঘটনাটি টের পাননি প্রথমে। কিন্তু ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকা যে হিন্দু পরিবার শোভাযাত্রা দেখছিলেন তারা ব্যাপারটি দেখতে পান এবং চিৎকার করতে থাকেন। সময় নষ্ট না করে উপর থেকেই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ওই হিন্দু পরিবারের সদস্যরা।
চিৎকার করে আগুন লাগার কথা সকলকে জানিয়ে দেন তাড়াতাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার ব্যাপারটা শোভাযাত্রাতে অংশগ্রহণকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ টের পাননি। ব্যালকনি থেকে দাঁড়িয়ে থাকা হিন্দু পরিবার ওই আগুন দেখে জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করে আগুন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিভে যায়।
এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের একাধিক তারা চাদ মিনা জানিয়েছেন, স্থানীয়দের উদ্যোগে দুর্ঘটনায় আগানো গেছে না হলে বড়সড় একটি ঘটনা ঘটে যেত। সব থেকে বড় ঘটনা হলো আজ অনেকদিন পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নজির দেখতে পেলাম আমরা। যে সমস্ত হিন্দুরা ব্যালকনি থেকে জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দিয়েছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ করতালি দিয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাদের।