সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাজ্যগুলোর করের ভা’গ ব’রা’দ্দ করলো কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গের জন্য কতটা অর্থ ব’রা’দ্দ হলো?

রাজ্যগুলিকে করের সমস্ত টাকা ভাগ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মোট ২৮ টি রাজ্যের জন্য ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৬৫ টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৮৭৭৬ কোটি টাকা। প্রতিটি অর্থ বর্ষে মোট ১৪ টি কিস্তিতে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়। আর্থিক বছরের শেষ মাসে দুটি বা তিনটি কিস্তি অতিরিক্ত দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে।

এর আগে ২০২০ এবং ২০২১ আর্থবর্ষেও একইভাবে অতিরিক্ত কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, দিল্লি সফরে এসেই রাজ্যের পাওনা মেটানোর দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পবাদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা কেন্দ্রের কাছে দাবি করেছিল রাজ্য।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেওয়া চিঠিতে মমতা ব্যানার্জি লিখেছিলেন, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের এক লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তার মধ্যে ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ১৭,৯৯৬,৩২ কোটি টাকা বাকি রয়েছে।

আরো পড়ুন: কেষ্ট-র উ’ত্থা’ন ও পতন বে’শ সিনেম্যাটিক, জানুন অনুব্রতর কা’হি’নী

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বহুবার এই বিষয়ে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য বকেয়া দ্রুত মেটানোর জন্য আরো একবার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তিনি আরো লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্প রূপায়ণে গোটা দেশের মধ্যে একেবারে সামনে সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এরপরেও প্রাপ্য টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা না পাওয়ার জন্য প্রকল্পের রূপায়ণ বাধা পাচ্ছে যার ফলে গ্রামের মানুষেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

নীতি আয়োগ এর পরিচালন সমিতির সপ্তম বৈঠকে রাজ্যের পাওনা গণ্ডা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নষ্ট করার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন আপনি নির্ভর করে তুলতে হলে আগে রাজ্যগুলোকে আত্মনির্ভর এবং শক্তিশালী করে তুলতে হবে।

একই দাবিতে লোকসভায় জিরো আওয়ারে সড়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দ্রুত এই বকে অর্থের অর্ধেক মেটানো এবং বাকি অর্ধেক টাকা চলতি বছরের শেষে মেটানো হোক। তাই সবশেষে পশ্চিমবঙ্গকে বকেয়া টাকা মিটানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন কেন্দ্র।