বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বারবার সংবাদ মাধ্যমের চর্চার বিষয়বস্তু হয়েছেন বীরভূমের দৌর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
তবে গরু পাচার মামলায় সহ একাধিক মামলায় নাম জড়িয়ে সেই তৃণমূল নেতা এবার সিবিআই এর হেফাজতে বন্দি। একসময় তিনি ছিলেন সাধারণ এক মাছ ব্যবসায়ী। মাছ ব্যবসা থেকে কিভাবে এত বড় রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠলেন তিনি?
অনুব্রত মণ্ডল কে নিয়ে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন একসময় যিনি হাটে বসে মাগুর মাছ বিক্রি করতেন আজ তিনি হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!
আরো পড়ুন: ঋ’ণ নেওয়ার আগে অন্তত ৩ বার ভাবুন, অসমবাসীকে স’ত’র্ক’বা’র্তা মুখ্যমন্ত্রীর
মাছ ব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে তিনি যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। তখন মমতা ব্যানার্জির সুনজরে পড়ে যান তিনি। ১৯৯৮ সালে মমতা যখন কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল গড়ে তোলেন তখন অনুব্রত মণ্ডল তার অনুগামী হন।
এরপর থেকেই বীরভূমে তৃণমূল অনুব্রত মণ্ডলের দাপট বাড়তে থাকে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির পদে বসেন অনুব্রত। পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে বিধানসভা ভোট বীরভূমে কে কখন কোথায় প্রার্থী হবেন অনুব্রত মণ্ডল ঠিক করে দিতেন।
তবে তিনি নিজে কখনো প্রার্থী হননি। তিনি বলতেন মুখ্যমন্ত্রী একাই প্রার্থী। তিনি তার সঙ্গে রয়েছেন তাই তিনি আর প্রার্থী হতে চান না। ২০১৯ সালে অনুব্রতর মা পুষ্পরানি মন্ডল প্রয়াত হন।
২০২০ সালে প্রয়াত হন তার স্ত্রী ছবি মন্ডল। এখন একমাত্র মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে সংসার করছেন অনুব্রত। গরু পাচার মামলাতে নাম জড়ানোই দশবার সিবিআই অনুব্রতকে তলব করে।
তবে তিনি প্রত্যেকবার কোন না কোন বাহানা দিয়ে সিবিআইকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এবার সিবিআই তার বাড়িতে গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।