সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হ’য়ে চলেছে পাথর বৃষ্টি! নয়া গ্রহের হ’দি’শ পে’লো নাসা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা এই বিশ্বের অন্যতম প্রধান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র NASA। তাদের অন্যতম হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এমন অনেক গ্রহের সন্ধান আমরা পেয়েছি যেখানকার রহস্য বিজ্ঞানীদের বারবার চমকে দিয়েছে।

সম্প্রতি নতুন আরও দুটি ভিন্ন গ্রহ আবিষ্কার করেছে এই টেলিস্কোপ। বিজ্ঞানীরা নতুন এই রহস্যময় গ্রহ দুটি নিয়ে বেশি উৎসাহিত।বিজ্ঞানীদের কথায়, তাদের আবিষ্কৃত নতুন দুটি গ্রহ বৃহস্পতির মতোই, তবে এদের মূল নক্ষত্র বা পেরেন্ট স্টার অত্যন্ত নিকটে অবস্থান করছে গ্রহ দুটির।

সম্প্রতি আবিষ্কৃত নতুন এই গ্রহ দুটির বায়ুমণ্ডল রহস্যে ঘেরা। তারা পেরেন্ট স্টারের এতটাই কাছে অবস্থিত যে সেখানকার তাপমাত্রা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ধাতুকেও নিমেষে গলিয়ে দিতে সক্ষম।

আরো পড়ুন: OMG: যোগীকে না’লি’শ করতে ২১০ কিমি দৌ’ড় ১০ বছর বয়সী মেয়ের! কিন্তু কি’সে’র অ’ভি’যো’গ?

শুধু তাই নয়, এই দুই গ্রহের মধ্যে একটিতে রয়েছে রেনিং ভ্যাপরাইজড রক এবং অন্যটিতে রয়েছে পেরেন্ট স্টার থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি বা আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, যা সরাসরি বায়ুমণ্ডল এর উপর এসে পড়ে। সম্প্রতি দুটি আলাদা আলাদা গবেষণাপত্রে নতুন এই দুই গ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এই নতুন দুই গ্রহ পৃথিবী থেকে ১৩০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। ওই অঞ্চলের বায়ুমন্ডল সিলিকন মনোক্সাইড গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ, যার কারণে দিনের বেলায় বায়ুমণ্ডল মেঘ ছাড়াই থাকে, কিন্তু রাতের বেলা গ্রহ দুটির আকাশ সম্পূর্ণ মেঘে ঢেকে যায়। শুধু তাই নয়, সুপার হ্যারিকেনের গতিতে অর্থাৎ ২০০০ মাইল প্রতি ঘন্টা বেগে গ্রহের চারপাশে ঘুরতে থাকে মেঘ ও বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য বস্তু। বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলের মতোই এই গ্রহগুলিতে বায়ুমণ্ডলের বিশাল তারতম্য চোখে পড়ে।

আরো পড়ুন: পয়লা বৈশাখে কি তু’মু’ল বৃষ্টি? জা’নি’য়ে দি’লো আবহাওয়া দপ্তর

বিজ্ঞানীরা এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, গ্রহ দুটির একটি দিক সবসময় পেরেন্ট স্টারের দিকে মুখ করে থাকে এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকটিতে সিলিকন মনোক্সাইড অত্যন্ত ঠান্ডা হয়ে পাথরে ঘনীভূত হয়ে যায়। আর এই গ্রহের সবচেয়ে আজব ঘটনা হলো মেঘ থেকে যখন বৃষ্টি হয় তখন জল নয়, তার বদলে মাটিতে পাথর ঝরে পড়ে এবং পেরেন্ট স্টারের কারণে গ্রহগুলি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে ওই গ্রহে থাকা শিলাগুলি বাষ্পীভূত হয়ে যায়।

সম্প্রতি আরও একটি গবেষণা পত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন তারা অন্য একটি সুপার হট জুপিটার KELT-20b খুঁজে পেয়েছেন পৃথিবী থেকে ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে। এই গ্রহের পেরেন্ট স্টার থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মির বিস্ফোরণ হয়, তার কারণে গ্রহের বায়ুমন্ডলের চারপাশে একটি থার্মাল আস্তরণ তৈরি হয়েছে যার সঙ্গে পৃথিবীর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মিল রয়েছে।