সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মুসলমান মহিলাদের বি’বা’হ বি’চ্ছে’দ চাওয়ার অ’ধি’কা’র ইসলামই দিয়েছে: কেরল হাইকোর্ট

আমাদের হিন্দু ধর্মে একটা বাঙালি নারীর অধিকার নিয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমনকি নারী স্বাধীনতা নিয়েও প্রচুর আন্দোলন হয়েছে একসময় আর তার পর নারী পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে সব বিষয়ে তার আইন পাশ হয়েছে। কিন্তু একটা হিন্দু নারীর মতো একজন মুসলিম নারী ঠিক ততটাই স্বাধীনতা পান না। সাধারণত আমরা দেখে থাকি মুসলিম ধর্মের মেয়েরা বা বিবাহিত মহিলারা অনেক বেশি নিয়মের ঘেরাটোপে বন্দী। তাদের অনিচ্ছাতেও অনেক নিয়ম তারা মেনে নিতে বাধ্য হন। তবে এখন সময়টা অনেকটাই বদলেছে।

কয়েকবছর আগেই তিন তালাক নিয়ে জোরদার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কারণ মুসলিম ধর্মে আগে স্বামী তিন তালাক বলে বিবাহিত সম্পর্ক শেষ করে দিতে পারতো। আর এই নিয়ে অনেক যুদ্ধ চলে কোর্ট চত্বরে। এবং অনেক কষ্টে এই পারমিশন পাশ হয় যে এভাবে বিয়ে ভাঙ্গা যাবে না। আর ঠিক এই একই রকম সমস্যার মধ্যে পড়ল আরো এক মহিলা।

এই মহিলা তার দাম্পত্য জীবনের ইতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি ডিভোর্স দিতে চান তাঁর স্বামীকে। আদালত সেই পারমিশন দিয়েও দেন। কিন্তু সমস্যা শুরু করেন তার স্বামী। আর এই নিয়েই আরো একটি আইনি লড়াই শুরু হয়। ওই মহিলার স্বামী এই ডিভোর্স দেওয়ার বিষয়টা নিয়ে আপত্তি জানায়। ওই মহিলার স্বামী ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হন হাই কোর্টের।

আরো পড়ুন: গোমেদ কখন ধারণ ক’র’তে হবে? জ্যোতিষশাস্ত্রে কি ব’লা হয়েছে?

তাঁর বক্তব্য ছিল, একজন মুসলিম মহিলা ‘খুলা’-র (ইসলামে বর্ণিত পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারেন) মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ চাওয়ার অধিকার রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেজন্য আগে তাঁকে স্বামীর কাছে তালাক চাইতে হবে। না পেলে তখনই তিনি আদালতে যেতে পারেন।

আর তাই এই বক্তব্যকে একেবারেই কেরালা হাই কোর্ট মেনে নেয়নি। বরং বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক ও বিচারপতি সি এস ডায়াসের বেঞ্চ জানিয়েছে,আদালত সহজেই খুলাকে মেনে নিতে পারে। এর সঙ্গে স্বামীর কোনও যোগ নেই। স্বামীর ওপর কিছু নির্ভর করে না।

বিচারপতিদের মতে, পিটিশনে যা বলা হয়েছে তাতে মুসলিম মহিলাদের কার্যত তাঁদের স্বামীর ইচ্ছাধীন বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবেদনকে ‘নির্দোষ’ বলা যায় না। বরং তার মধ্যে যেন এই সম্প্রদায়ের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব ও মুসলিম ধর্মগুরুদের প্রভাব লক্ষিত হচ্ছে। আদালত থেকে আরো বলা হয় যে, মুসলিম মহিলাদের অবশ্যই ডিভোর্স চাওয়ার অধিকার আছে।

শরীয়ত আইনে বলা আছে এই ডিভোর্স চাওয়ার কথা। এবং এর জন্য স্বামীর অনুমতির কোনো দরকার নেই। এছাড়াও, আদালত জানিয়েছে ‘খুলা’র ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে তা মানতে হবে। সেগুলি হল ১) স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিতে হবে বিয়ের সমাপ্তির কথা। ২) পণ অর্থাৎ বিয়েতে পাওয়া যৌতুক ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখতে হবে। ৩) খুলার ঘোষণার আগে বিয়ে টিকিয়ে রাখতে দাম্পত্য সমস্যা মেটানোর যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে। এই নিয়ম গুলো মানলেই দেওয়া যাবে ডিভোর্স।