আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়েই বর্ষা প্রবেশ করেছে বাংলায়। গত সপ্তাহ থেকেই তাই রাজ্য জুড়ে প্রবল বর্ষণ চলছে। সারা বাংলা জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ তো রয়েইছে। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে আজ মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের এবং উত্তরবঙ্গের মধ্যে কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে প্রবল বর্ষণের সতর্কবার্তা জারি করেছে মৌসম বিভাগ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দোপাপাধ্যায় জানালেন যে, উত্তরপ্রদেশের উপর যে নিম্নচাপ কাজ করেছিল সেটি এখন দুর্বল হয়ে গিয়েছে। নিম্নচাপ সংলগ্ন ঘূর্ণীবর্তের প্রভাব কিন্তু কাটেনি। এদিকে আবার একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পশ্চিম পঞ্জাব থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে ক্রিয়া করছে একটি ঘূর্ণবাত। যার ফলে উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিংপংয়ে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ১৮ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়বে।
আর কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে যেভাবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে তাতে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স এবং সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়ার্সের আশেপাশেই থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। মৌসুমী অক্ষরেখার শক্তি বৃদ্ধির কারণে ২৮ তারিখ পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাত হবে বলে জানানো হয়েছে।