সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বকাপ থেকে রে’ক’র্ড ইনকাম করলো ফিফা, কো’ষা’গা’রে জ’মা পরলো ৬২ হাজার কোটি টা’কা

সম্প্রতি শেষ হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২। এই বিশ্বকাপে ফিফার কত আয় হয়েছে শুনলে মাথা ঘুরে যাবে। এবারের বিশ্বকাপে যেন অন্যান্য বছরে তুলনায় আয়োজনে কোনো খামতি রাখতে চায়নি ফিফা কর্তৃপক্ষ। সোনার বল সোনার গ্লাভস সোনার বুট সবকিছুই ছিল। সেই সঙ্গে চড়া ছিল টিকিটের দাম। এক একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চার বছরের সময় লাগে। আজ থেকেই আবারো শুরু হয়ে গেল আগামী বিশ্বকাপের পথ চলা।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফিফা এক বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে বিশ্বকাপে। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ হয়েছিল রাশিয়াতে। এবার কাতারে। একটি রিপোর্ট বলছে এবারে ফিফার উপার্জন হয়েছে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা। ফিফার অনুমান ছিল আরো কম উপার্জন হবে। যেহেতু একটি দেশের মধ্যেই আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বকাপ তাই ফুটবলারসহ অন্যান্য টিমগুলির যাতায়াতের খরচা বেচে গিয়েছে।

৭.৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে পাঁচ দিক থেকে আয় হয়েছে ফিফার। টিভি স্ট্রিমিং রাইট, বিজ্ঞাপন রাইট লাইসেন্সিং রাইট টিকিট বিক্রি এবং হসপিটালিটি রাইট। টিভি স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে তাদের। ৫৬ শতাংশ এসেছে এইখান থেকে। ২৯ শতাংশ উপার্জন হয়েছে বিজ্ঞাপন থেকে। এবং অন্যান্য খাত থেকে উপার্জিত হয়েছে আরও অর্থ। শুধুমাত্র টিকিটের ক্ষেত্রে ফিফা বিশ্বকাপে এক বিলিয়ন ডলার অর্থ উপার্জন করেছে।

আরো খবর: মেসির জন্ম না’কি অসমে! টুইট করে বি’ত’র্কে জড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ

আরো একটি সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছি কাটার বিশ্বকাপে টিকিটের দাম ২০১৮ তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি ছিল। কাতারের ফাইনাল ম্যাচে টিকিটের দাম হয়েছিল ৬৮৪ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় এই টাকার অংক ৬৬ হাজার ২০০ টাকা। কাতার বিশ্বকাপ শেষ। এবার শুরু হয়ে গিয়েছে আগামী বছরের বিশ্বকাপ রচনার রূপরেখা।

২০২৬ সালে আমেরিকা মেক্সিকো এবং কানাডায় এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিন দেশে বিশ্বকাপ হওয়ায় খরচ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। লাভের মাত্রাও বেড়ে যাবে আগামী বিশ্বকাপে। ফিফা পরিকল্পনা করছে ১১ বিলিয়ন ডলার অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে। আগামী বিশ্বকাপে টিভি স্ট্রিমিং রাইট বিজ্ঞাপনের থেকে আরও ৫০ শতাংশ অর্থ তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।