সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তিনি কাউকে ভ’য় করেন না! এবার নিজের ঠি’কা’না প্র’কা’শ্যে আনলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

আমি কাউকে ভয় করিনা, ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের ১৩ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনোস্কি রাশিয়ার উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন মস্কো কিয়েভ ছেড়ে এখনো পালিয়ে যাইনি, কাউকে ভয় করিনা বলেই এখনও দেশেই রয়েছি।

দিনের-পর-দিন রাশিয়া রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয়ে যাচ্ছে। চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে দেশকে। ইতিমধ্যেই মূহুর্মূহু বিষ্ফোরণ, ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাত, সবকিছুই যেন ইউক্রেনকে দুর্বল করে দিচ্ছে। কিন্তু সেই দেশের প্রেসিডেন্ট এখনো শক্ত রয়েছে। তার মনোবল এখনো ভেঙে দিতে পারেনি রুশ সেনারা।

তিনি বলেছেন, আমি এখন বর্তমানে কিভের বানকোভা স্ট্রিটে আছি, আমি কাউকে দেখে লুকোচ্ছি না। ভয়ও পাচ্ছি না। এমনকি দেশ ছেড়েও পালাচ্ছি না। ক্রেমলিনের সাথে সংঘাতে জেতার জন্য যা করণীয় আমি সেটাই করব। একেবারেই ভয়ে পালিয়ে যাব না। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করব।

আরো পড়ুন: তেল ও গ্যাস রপ্তানিতে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জা’রি আমেরিকার, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি রে’ক’র্ড হা’রে

১৩ তম দিন রাশিয়াও ইউক্রেনের সংঘাতের। ইতিমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গেছে রুশ সেনাবাহিনী। তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই নাকি প্রেসিডেন্ট কে হত্যা করার জন্য তিনবার রাশিয়া পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে আবার রাশিয়া সাধারণ জনগণকে যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুরক্ষিত করিডরের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেটা নাকচ করে দেয় ইউক্রেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ছটি করিডরের মধ্যে ৪ টি রাশিয়া ও বেলারুশের দিকেই নিয়ে যাবে, এতে ইউক্রেনের জনগণের সুরক্ষা নিয়ে আরো বেশী চিন্তার সৃষ্টি করবে।

তাই কোনোভাবেই এই প্রস্তাব মেনে নেওয়া যাবে না। তাছাড়া রুশ সেনারা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নাগরিকদের ওপরেও হামলা করার অভিযোগ শোনা গেছে জেলেনস্কির মুখে। এদিকে আবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি তাদের দেওয়া সমস্ত শর্ত মেনে নেয় তাহলে যুদ্ধ বন্ধ হবে।

তা না হলে এই যুদ্ধ আগামী দিনে আরও বড় রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।রাশিয়ার আগ্রাসন সহ্য করেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রুখে দাঁড়িয়েছে এবং মুখোমুখি লড়াই এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়া তেও যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে সেই দেশের নাগরিক। তবে তাদের ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।