সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

লোনের টা’কা না মেটালেই কি তাকে “Fraud” বলা হবে? SBI-র প্রশ্ন কোর্টে

এনপিএ(NPA) হল অ-পারফর্মিং সম্পদ বা Non Performing Asset। এনপিএ হল ভারতীয় ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য অপারেটিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারা দেওয়া ঋণ যেগুলি দীর্ঘ সময়ে থেকে ওভারডিউ অবস্থায় রয়েছে( 90 দিন বা 90 দিনের বেশি)। অনেকসময় ঋণ বা লোন গ্রহীতার আর্থিক অবনতির কারণে তিনি লোন পরিশোধ করতে অপারক হন,অথবা অনেকে ইচ্ছা করেই লোন পরিশোধ করেন না।

এইরকম গ্রহীতাকে ‘ফ্রড’ বা জালিয়াত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হয় ব্যাংকগুলো।সম্প্রতি তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট একটি শুনানিতে জানায় যে শুরুতেই কোনও অ্যাকাউন্ট হোল্ডার কে জালিয়াতি হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে না। এই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার কে জালিয়াতি হিসাবে চিহ্নিত করার আগে ব্যাঙ্ককে অবশ্যই ঋণগ্রহীতার বক্তব্য শুনতে হবে। ব্যাঙ্ক- এর কোনও ঋণগ্রহীতাকে ‘ফ্রড’ হিসাবে ঘোষণা করার অধিকার নেই। আদালতের রায়ে চিন্তার ভাঁজ পরেছে ব্যাংক কর্তাদের কপালে।

আরো খবর: তৃণমূলের আরো এক বিধায়কের বি’রু’দ্ধে নি’য়ো’গ দু’র্নী’তি’র অভিযোগ! CBI তদন্তের নি’র্দে’শ হাইকোর্টের!

তাদের প্রশ্ন, ঋণ প্রদানকারী ঠিক কখন কোনও গ্রহীতাকে ‘ফ্রড’ বা জালিয়াত হিসাবে চিহ্নিত করতে পারবে?তাই এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে SBI, SBI সুপ্রিম কোর্টের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে অনুরোধ করেছে।

ঋণগ্রহীতার কথা শুনতে কতটা সময় পাওয়া যাবে? ‘ব্যক্তিগত শুনানির’ জন্য কতদিন সময়সীমা দেওয়া হবে?SBI সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করেছে সম্পূর্ণ রিপোর্টের পরিবর্তে ঋণগ্রহীতাদের ফরেনসিক অডিট রিপোর্টের শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় অংশটুকুই চিহ্নিত করে ,সেটির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক ব্যাঙ্কদের। এবার আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে SBI ।