বেশ কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসছে চাকরি নিয়ে দুর্নীতির। দমকলের চাকরি থেকে স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ভাইরাল হয়েছিল একটি অডিও রেকর্ডিং। হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি সেই অডিও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেন।
সেখানে দেখা যায় একজন যুবকের সঙ্গে চাকরি নিয়ে দরকষাকষি করছেন বিধায়ক। যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তারপর তরুণজ্যোতি তিওয়ারি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজাশেখার মান্থা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে তাপস সাহার এই নিয়োগ দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করতে। যদিও এই ব্যাপারে বিধায়ক জানিয়েছেন দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তিনি স্বেচ্ছায় দল ত্যাগ করবেন।
আরো খবর: বন্দে ভারতের জন্য কত কোটি টা’কা খরচ হ’য়? তবে আ’য়ে’র পরিমাণ কতটা?
প্রতিটি প্রার্থীর কাছ থেকে ছয় থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেবার অভিযোগ উঠেছে তাপস সাহা বিরুদ্ধে। এই তাপস সাহার আপ্ত সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই টাকা দিয়ে স্ত্রীর জন্য বিলাসবহুল গাড়ি এবং জায়গা কিনেছিলেন বিধায়ক।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপস সাহার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও কেন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়নি সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।