সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চালের দাম কেন এতো বাড়লো? কবে কমবে? কি বলছেন ব্যবসায়ীরা?

যতদিন যাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম আগুনের মত বাড়ছে। তার ওপর আবার জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের হিমশিম খাওয়ার জোগাড় হয়েছে। সম্প্রতি চালের দামও বেড়েছে। আমাদের রাজ্যের শস্যভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলাকে বলা হয়ে থাকে। সেই জেলাতেই চাল পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ব্যাবসায়ীদের মতে – ধানের যথেষ্ট যোগান নেই তাই চাল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তাঁরা বলেন, এই বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি তাই চাষীরা ধান রেখে দিচ্ছেন বিক্রি করছেন না। বৃষ্টির অভাবে ধান উৎপাদন যদি বেশি না করা যায় তাহলে সমস্যায় পড়বেন কৃষকরা বলে মনে করছেন।

আবার ধানের দাম পরে বেড়ে যেতে পারে সে জন্যও সম্পন্ন ঘরের কৃষকরা ধান নিজেদের কাছে ধরে রাখছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় সব চালের দামই ধাপে ধাপে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে । দু মাস আগে মিনিকেট চালের কেজি প্রতি দাম ছিল ৪২ – ৪৩ টাকা । সেখানে তা এখন ৫০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে ।

আরো পড়ুন: এত প্রাণী থাকতে কেন ইদুরকেই গণেশ ঠাকুর বাহন হিসেবে বে’ছে নিয়েছেন?

বাঁশকাঠি চাল ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল কিছু দিন আগেও সেটা কেজি প্রতি এখন বাঁশকাঠি চালের দাম ৭৫ টাকা । দুমাস আগে লালস্বর্ণ চাল বিক্রি হচ্ছিল ২৪ টাকায় । সেই চালের দাম এখন ৩৬ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে । রত্না চালের দাম ছিল ৩৬ টাকা, সেই চাল এখন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।

চালের এই কম উৎপাদনে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা একটা কারণ, এছাড়াও মিনিকেট চাল প্রস্তুতের জন্য যতটা ধান দরকার ততটা যোগান নেই বর্তমানে। এই বর্ষায় সেই ধান উঠলে তবেই মিনিকেট চাল পাওয়া যাবে বাজারে।

তার উপর জ্বালানির দাম বেড়েছে সব মিলিয়ে সব কিছু প্রতি দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে সব জিনিসেরই দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা বলেই তারা জানিয়েছেন।

আর এর ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপদে। যেখানে চাকরিহীন ভবেই অর্ধেক বাড়ির যুবকই পড়ে রয়েছে। ছোট খাটো কোনো কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন কোনো মতে তাদের কাছে এই মূল্য বৃদ্ধি সত্যিই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।