সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এত প্রাণী থাকতে কেন ইদুরকেই গণেশ ঠাকুর বাহন হিসেবে বে’ছে নিয়েছেন?

বাহন কথার অর্থ হল যে বহন করে নিয়ে যায়। হিন্দু দেবদেবীর সকলের একটি করে বাহন আছে। মূলত সব দেবতার বাহনই কোনো না কোনো জীব। তেমনই সিদ্ধিদাতা গণেশেরও একটি বাহন রয়েছে, তা হল ইঁদুর। তবে এত জীব থাকতে গণেশ ইঁদুরকে কেন বেছে নিলেন? এর পেছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনী।

স্বর্গে ইন্দ্রপুরীতে ইন্দ্রের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। একদিন সেখানে বামদেব নামক এক ঋষি এসে বেশিরভাগ গলায় গান গাইতে শুরু করেন। সেই গান শুনে গন্ধর্ব ক্রঞ্চ নিজের হাসি থামাতে পারেন নি, আর তাতেই ক্রুদ্ধ হন বামদেব।

বামদেবের অভিশাপে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ওই ঋষি ক্রঞ্চকে আরও অভিশাপ দেয় যে সে আর কখনও গান গাইতে পারবে না। ক্রঞ্চ নিজের ভুল মেনে নিয়েও ক্ষমাও চায়।

আরো পড়ুন: OMG: বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের ম’দ্য’পা’নে মারাত্মক ঝুঁ’কি! রি’পো’র্ট প্রকাশ্যে

তবে তাতে বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। তবে বামদেব ঋষি আরও বলেছিলেন যে যদি তাকে কখনও গণেশ বাহন করেন তাহলে তার মুক্তি ঘটবে। অভিশাপবশত তিনি ইঁদুর হয়ে মর্তের খোলা মাঠে এসে পড়েন।

সেই মাঠের কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। আর সেই ক্রঞ্চ ইঁদুর খাবারের সন্ধানে এমন উৎপাত শুরু করে যে সেখানকার বাসিন্দারা একেবারে অতীষ্ট হয়ে ওঠেন।

এরপর একদিন যখন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছে গণেশের উপদ্রবের কথা জানতে পারেন। এরপর গণেশ তৎপরতার সঙ্গে ইঁদুরটিকে ধরেন।

তখন ক্রঞ্চ ইঁদুর নিজের আসল পরিচয় বলেন গণেশকে এবং এই কথাও বলেন যে তাকে বামদেব বলেছিলেন, যদি তাকে কখনও স্বয়ং গণপতি নিজের বাহন করেন তবেই তার মুক্তি হবে এবং সব দুঃখ ঘুচবে। একথা শোনার পরই গণেশ তাকে নিজের বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন।