দেশের মধ্যে আলোচনা হোক বা সমালোচনা তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন সারা দেশের কাছে একটা বিস্ময় বলা যায়। বাংলায় নতুন বছরের শুরুতেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই ট্রেনের পথচলা। আবার লাগাতার এই ট্রেনের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এই ট্রেনে ওঠার জন্য কত লোক যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। এবার জানা গিয়েছে এই ট্রেন সম্পর্কে গোপন তথ্য।
এই ট্রেনে এখন স্লিপার ক্লাসের ক্ষেত্রেও রিজার্ভেশন বাধ্যতামূলক। আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই ট্রেনের স্লিপার সংস্করণ ২২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে এগিয়ে যাবে। সম্পূর্ণ অন্যরকম ধাঁচে ডিজাইন করা হবে। এই ট্রেনের অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি স্লিপার সংস্করণটি বর্তমানে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে দৌড়াচ্ছে।
রেলের উচ্চ আধিকারিকরা আরো জানিয়েছেন চেয়ার কার বিশিষ্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস গুলিকে পর্যায়ক্রমে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতন করা হবে। এখানে স্লিপার ক্লাসগুলি রাজধানী এক্সপ্রেস এর মতন হয়ে উঠবে। অর্থাৎ শতাব্দী এবং রাজধানীর মিলিত সংস্করণ হয়ে উঠবে বন্দে ভারত।
আরো খবর: এই ৫ সরকারি প্র’ক’ল্পে’র মা’ধ্য’মে আপনি হ’য়ে যে’তে পারেন কোটিপতি!
ইতিমধ্যেই ৪০০ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর জন্য টেন্ডার জারি করা হয়েছে রেলের তরফ থেকে। এই সংক্রান্ত সমস্ত কাজ পুরোপুরি হয়ে গেলে তবেই অনুমোদন দেওয়া হবে। চারটি বড় দেশি ও বিদেশী কোম্পানি বন্দে ভারত ট্রেনের উৎপাদনে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।
রেল পরিকল্পনা করছে প্রথম ২০০ টি বন্দে ভারত ট্রেনে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতন আসন সংখ্যা করা হবে।। সেগুলি ভ্রমণ করবে ১৮০ কিলোমিটার গতিতে। রেল পথে সমস্ত নিরাপত্তা সুরক্ষা বজায় রেখে আপাতত ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় সীমাবদ্ধ থাকবে এর গতি। দ্বিতীয় পর্বে ২০০টি স্লিপার ক্লাসের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানো হবে।
যার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। দিল্লি মুম্বাই এবং দিল্লী কলকাতা রেলপথের ট্রাকগুলি ইতিমধ্যেই মেরামত করা শুরু হয়ে গিয়েছে।। ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয় পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে এই ট্রাক এবং সিগন্যাল। দুই বছরের মধ্যে আরও ৪০০ টি বন্দে ভারত তৈরি করা হবে।