মহামারী প্রভাবে গত দুবছর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল। মহামারী করোনার দাপটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মধ্যবিত্ত মানুষ। কাউকে ছাটাই করা হয়েছে চাকরি থেকে আবার কেউ হয়তো ব্যবসা হারিয়েছেন। এমনই উদাহরণ হাজার হাজার রয়েছে ভারতবর্ষে।
তবে দেশের অর্থনীতি যতই দুর্বল হোক না কেন সরকার দেশবাসীকে ভালো রাখবার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। যেমন আগামী বাজেটে জনহিতকর বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষনা করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখানে ভারত সরকারের রয়েছে পাঁচটি স্কিম যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ হতে পারেন কোটিপতি। একদিকে যেমন থাকবে নির্ভরযোগ্যতা তেমন থাকবে সুরক্ষা।
প্রতিটি মানুষ চান তার টাকা এমন কোন জায়গায় রাখতে যেখান থেকে বেশ ভালো মানের রিটার্ন পাওয়া যায় ঠিক একইভাবে সুরক্ষিত থাকে তার গচ্ছিত সম্পদ। অনেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের উপর নির্ভর করেন। বড়লোক হতে কে না চায় বলুন।
এমনই কিছু নির্ভরযোগ্য স্কিম রয়েছে যেগুলির সাহায্যে খুব সহজেই একজন মধ্যবিত্ত মানুষ হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি। কথায় বলে রাখলে টাকা ডাকঘরে লক্ষ্মী আসেন সংসারে। কোন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক নয়, পোস্ট অফিসের কিছু দুর্দান্ত স্কিম রয়েছে যার সাহায্যে আপনি হতে পারেন অল্প দিনেই কোটিপতি।
তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে পিপিএফ বা পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট। এরপরেই রয়েছে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিম। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। নিজেদের এবং নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এই স্কিমগুলিতে টাকা জমাতে পারেন।
যেমন বাড়ির কন্যা সন্তানদের জন্য চোখ বুজে বিশ্বাস করতে পারেন সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার উপর। ঠিক তেমনি বৃদ্ধ বয়সে মনের সুখে বাঁচতে নির্ভর করতে পারেন সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের উপর। এসব ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আজই নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন।