পরীক্ষা না দিয়ে ইন্টারভিউতে না বসে অযোগ্য হওয়া সত্বেও চাকরি পেয়েছেন এমন নিদর্শন নাকি এই বাংলায় ভুরি ভুরি রয়েছে। তবে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে সরিয়ে যোগ্যপ্রার্থী চাকরি পাওয়ার ঘটনা রাজ্যে এই প্রথম ঘটল।
এই আন্দোলনের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ববিতা সরকার। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে সুপারিশপত্র পেলেন।
সোমবার এসএসসির আচার্য সদনে গিয়ে সুপারিশ পত্র গ্রহণ করেছেন ববিতা। যে স্কুলে মন্ত্রী পরস্পিকারের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি করতেন সেই স্কুলেই শিক্ষকতার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
আরো পড়ুন: G-7 বৈ’ঠ’কে মোদি ম্যাজিক, বাইডেন নিজে এ’সে হা’ত মেলালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর স’ঙ্গে
তার এই লড়াইতে কার্যত আন্দোলনকারীরা নতুন করে সাহস পেয়েছেন। এর আগে ক্যান্সারাক্রান্ত আন্দোলনকারী সোমা দাসকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে অযোগ্য প্রার্থীদের সরিয়ে তার জায়গায় যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগ হওয়ার ঘটনা ঘটলো এই প্রথম। ববিতা কার্যত তার লড়াই এবং সাফল্য দিয়ে নজির গড়লেন।
মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলের এবার শিক্ষকতা করার জন্য নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন ববিতা। আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে তার হাতে দেওয়া হলো সুপারিশ পত্র।
আর কয়েকবার পরে তার দীর্ঘ লড়াই শেষ হবে। যারা এখনো বঞ্চিত আছেন তাদেরও খুব তাড়াতাড়ি চাকরি দেওয়া হবে বলে আশা করছেন ববিতা।