অগ্নিপথ প্রকল্পের কারণে ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে তাণ্ডব চলছে। দলে দলে মানুষজন তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে নষ্ট করা হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। তেলেঙ্গানা থেকে শুরু করে বিহার, এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলো এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি।
বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ অন্যতম। বিভিন্ন জায়গায় রেল , বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেলের ৭০০ কোটির বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও এই প্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে।
এক কথায় কেন্দ্রীয় সরকার এখন অনেকটাই চাপের মুখে তাদের নতুন অগ্নিপথ প্রকল্পের দ্বারা। নতুন এই প্রকল্প সামনে আসার পরেই বিরোধিতা শুরু হয়েছে দেশবাসীর, এতদিন প্রধানমন্ত্রী কিছু না বললেও এবার তিনি মুখ খুলেছেন।
আরো পড়ুন: এবছর রাখি বন্ধন ক’বে? কোন শুভ মু’হূ’র্তে রাখি বাঁধবেন জেনে নিন
তিনি বলেছেন, দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যেই সরকার নতুন প্রকল্প নিয়ে আসে, কিন্তু তার মধ্যে রাজনৈতিক রং লেগে আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। বলা যেতে পারে এটা ভারতের দুর্ভাগ্য যে, নতুন কোনো কিছু প্রকল্প আসলেই সেটা রাজনৈতিক দলের রং লেগে তার উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
আজ রবিবার প্রগতি ময়দানের প্রধান টানেলের উদ্বোধনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ভারতবর্ষের এটা দুর্ভাগ্য যে। মানুষ জাতির স্বার্থে সরকার বিভিন্ন ভালো কিছু পরিকল্পনা করে থাকে। কিন্তু তারমধ্যে আচমকাই রাজনৈতিক রং লেগে তার উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। সত্যিই বিষয়টা খুবই দুঃখের।
সেনাবাহিনীতে নতুন নিয়োগ পদ্ধতির কারণে দেশবাসীর এই ক্ষোভ, সেনাবাহিনীতে লোক বল অক্ষুন্ন রেখে কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আধুনিকরণের স্বার্থে কেন্দ্রের এই নতুন প্রকল্প অগ্নিপথ।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ বছরের জন্য অস্থায়ী সেনা নিয়োগ করা হবে যাদের নাম দেওয়া হবে অগ্নিবীর। এই প্রকল্প ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ তাণ্ডব। কারণ একটাই অস্থায়ী পদে নিয়োগী করণ চাকরি প্রার্থীরা মানতে নারাজ।