সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এক কেজি অসম চায়ের দা’ম মাত্র ১.১৫ লক্ষ টা’কা! একবার চু’মু’ক দেবেন কি?

অসমের manohari Gold Tea এর নাম শোনেননি এমন কেউ নেই। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় এই চা। চলতি মাসে নিলামে এই বিশেষ চায়ের দর উঠলো কেজি প্রতি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। গতবছর এই দাম উঠেছিল ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এক ধাক্কায় এতোখানি দাম উঠেছে ডিব্রুগড়ে উৎপাদিত এই চায়ে। শুক্রবার একটি বেসরকারি নিলামের আয়োজন করা হয়।

tea inntech নামের একটি ওয়েবসাইটে এর দাম উঠেছে এত টাকা। বিশেষ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হয় এইটা। চা বাগানের তরফে জানানো হয়েছে ব্যক্তিগত নিলামের ক্ষেত্রে এই চায়ের দাম বেঁধে দিয়েছে দেশের টি বোর্ড। রাজ্যের টি অকশন সেন্টারে চায়ের নিলাম হলে এক লাখের বেশি উঠত না দাম। আপাতত শুক্রবার নিলামে উঠা এই দামকেই সর্বোচ্চ দাম হিসেবে মনে করছে কোম্পানি।

একই পদ্ধতি মেনে ওয়েবসাইটেও একটি নিলাম ডাকা হয়েছে। ওয়েবসাইটে দামের সর্বোচ্চ সীমা বেধে দেওয়া হয় না বলেই জানা গিয়েছে। RK tea sales নামের একটি সংস্থা সবচেয়ে বেশি দর দেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু কেন এত দাম এই চায়ের! এই চায়ের সঙ্গে মিশে রয়েছে সোনা। অন্যতম প্রিমিয়াম হিসেবে গত বছরে রাজ্যে পরিচিতি পেয়েছে এই চা।

আরো খবর: চীনে বেড়েই চলেছে ক’রো’না! ফে’র ভারতবাসীকে মা’স্ক পড়ার পরামর্শ কেন্দ্রের

চা তৈরি করা হয় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। ২০১৮ সালের নিলামে এর দাম ওঠে ৩৯ হাজার ১00 টাকা। তারপরে বছর ৫০০০০ এবং ২০২০ সালে বিক্রি হয় ৭৫ হাজারে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দাম ওঠে এই চায়ের। আবার জুন মাসে জোড়হাটের টি জাংশন বোর্ডে এক লাখ টাকা দাম ওঠে Pabhojan gold tea র।

সংস্থা দাবি করেছে যে দাম তারা এখনও পর্যন্ত পেয়েছেন সেটাই সর্বোচ্চ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অন্যতম বিরল চা হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছে এই চা। চায়ের পাতা তোলা হয় সূর্য ওঠার আগেই। কুড়িও তোলা হয় ওই একই সময়। নির্দিষ্ট স্বাদ ও মান রক্ষা করবার জন্য কোনরকম রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয় না। একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই চা তোলা হয় বছরে। মাত্র প্রশিক্ষিত কর্মীদের পাঁচ বছরে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরেই তারা এই চা পাতা তোলবার জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠেন।