ভয়াবহ করোলা সংক্রমনে বিপর্যস্ত চীন। চীনে দিন দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দিন কয়েক আগে চীনের মানুষ জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আজ তারাই আতঙ্কে তটস্থ। চীনের সেই ভয়ংকর পরিস্থিতির হাওয়া এসে কাঁপিয়ে দিয়েছে ভারত বর্ষকে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক বিশেষ বার্তা দেওয়া হলো ভারতের সমস্ত মানুষকে। আবারো পড়তে হবে মাস্ক।
বিশেষ করে যারা প্রবীন এবং কো মর্বিডিটি যুক্ত মানুষ তাদের মাস্ক এবং কঠোরভাবে নির্দেশিকা পালনের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। যারা এখনো পর্যন্ত করোনা টিকা গ্রহণ করেননি তাদের টিকা এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার উদ্বেগ জনক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এখানেই প্রতিনিধিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য।
সেই বৈঠকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন কয়েকটি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ও আধিকারিকদের সঙ্গে যে মিটিং হয়েছে তার দ্বারা প্রমাণিত যে করোনা এখনো শেষ হয়নি। তাই সকলকেই আমি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছি। যদিও যে কঠিন পরিস্থিতিতে ভারত সদা তৎপর। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়নি।
আরো খবর: নয়া বছরে এই কোম্পানির এই মডেল গুলোর দা’ম চরচরিয়ে বা’ড়’বে!
আগে থেকে সকলকে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের এক সদস্য বলেন আপাতত সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা না হলেও বিশেষ করে অসুস্থ ও প্রবীনদের জন্য এটা মেনে চলতেই হবে। আরো বলেন ভিরের জায়গায় সকলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
সম্প্রতি চীন ব্রাজিল দক্ষিণ কোরিয়া আমেরিকা এবং জাপানের মতো কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন দৈনিক ভিত্তিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে অবিলম্বে।
