সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সে’রা মুখ্যমন্ত্রী মমতা, ৯৬ বছরে স্বাস্থ্যসাথী কা’র্ড হাতে নিয়ে ম’ন্ত’ব্য বৃদ্ধার

বাঁচার ইচ্ছে সকলেরই থাকে।১০০ বছরের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও মানুষ আরো কিছু বছর বাঁচার ইচ্ছা পোষণ করে নিজের মধ্যে। তেমনি একজন মানুষ হলেন পূর্বস্থলী এলাকার নসরতপুরের ৯৬ বছর বয়সী সরস্বতী ঘোষ। আরো কিছু বছর ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য তিনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুযোগ সুবিধা পেতে চাইছেন। ঠিক সেই কারণে দাঁড়িয়েছিলেন দুয়ারে সরকারের লাইনে। শুধুমাত্র সরস্বতী দেবী নয়, তার ৭৪ বছর বয়সী মেয়ে লতিকা সরকারও আবেদন করেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য। পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাইস্কুলের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পাওয়ার পর হাসিমুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই যুগের সেরা মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিহিত করেন তিনি।

পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নরসিংপুরের বাসিন্দা সরস্বতী দেবী মেয়ে লতিকা সরকারের বাড়িতেই থাকেন। দুজনেই বিধবা। সরকারিভাবে কোনো রকমে দিন গুজরান হয় তাদের। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে নতুন করে অজানা ঝড়ের আশঙ্কা দেখতে পান তারা। স্বাভাবিকভাবেই বড়োসড়ো চিকিৎসা করার সামর্থ্য তাদের নেই একেবারে। টিনের চালা ঘরে কোন রকমে দিন কেটে যায় মা এবং মেয়ের। বাহ্যিক ঝড়ঝঞ্জা রীতিমতো অগ্রাহ্য করে আরো কিছু বছর বাঁচার ইচ্ছা রয়েছে সরস্বতী দেবীর।

তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পর সরস্বতী দেবী বলেন, শরীরটা খুব একটা ভালো নেই। যেকোনো সময় শরীর খারাপ হতে পারে। প্রয়োজনের সময় সরকারের দেওয়া এই সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পেয়ে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। আমার দেখা সেরা মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃদ্ধার পাশাপাশি তার মেয়ে লতিকা সরকারও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেয়ে ভীষণ ভাবে খুশি। তিনি বলেন, দিন আনা দিন খাওয়া সংসার চলে গেলেও ভয় হয় যখন শরীরে বড় কোন রোগের বাসা বাঁধে। তাই কিছু হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড যদি করা থাকে, তাহলে অনেকটাই সাহস সঞ্চয় হয়ে যায়।

সরস্বতী দেবীর আত্মীয় অভিজিৎ মল্লিক বলেন, দিদিমা এবং বড়মা দুজনেরই বয়স হয়েছে। তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ওনাদের জন্য এই মুহূর্তে ভীষণভাবে প্রয়োজন ছিল। ওনাদের কার্ড হওয়ার ফলে আমরা ভীষণ খুশি।