ভারতে দাম কমেছে ভোজ্য তেলের। ভারতীয় বাজারে বিদেশি ভোজ্য তেলের দাম নিম্নমুখী। গত সপ্তাহ থেকেই এই পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে গরমের কারণে তেলের চাহিদাও কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে ভোজ্য তেলের দামের উপর।
অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ায় ভোজ্য তেল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে বলে জল্পনার পারদ চড়েছে। এর ফলে দিল্লির তেল-তৈলবীজের বাজারে সর্ষে এবং চিনাবাদাম তেলের তেলের দাম কমেছে।
গত বছরের তুলনায় এবার বিদেশি তেলের থেকে সর্ষের তেল সস্তা হয়েছে। আগে সর্ষের চেয়ে আমদানি করা তেলের দাম কম থাকত। তবে এ বছর আমদানি করা তেলের দাম অনেক বেশি।
আরো পড়ুন: ১১ মে-র পর থেকে আ’র এই সুবিধা পা’বে’ন না Android ব্যবহারকারীরা
মূলত ইন্দোনেশিয়ায় ভোজ্য তেল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও রয়েছে।
এই আবহে বিদেশি ভোজ্যতেলের দাম গত বছরের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ বেড়েছিল চলতি বছরে। তব গত সপ্তাহে কুইন্টালে ১৫০ টাকা কমে সর্ষের দাম ৭৬৬৫ থেকে ৭৭১৫ (প্রতি কুইন্টাল) হয়েছে। এদিকে সর্ষে দাদরি তেলের দাম কুইন্টালে ৪০০ টাকা সস্তা হয়েছে।
এর জেরে এর দাম কুইন্টাল প্রতি ১৫,৪০০ টাকায় বিকোচ্ছে। অন্যদিকে সর্ষে পাকা ঘানি এবং কাচ্চি ঘানি তেলের দামও ৬০ টাকা করে কমেছে। এর জেরে ১৫ কেজি ওজনের টিনের দাম হয়েছে যথাক্রমে ২৪২০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং ২৪৬০ থেকে ২৫৭০ টাকা।
আরো পড়ুন: ফের একটি মা’র’ণ ভাইরাসের সামনে দাঁ’ড়ি’য়ে বিশ্ব! পড়তে পারে মা’রা’ত্ম’ক প্র’ভা’ব
এদিকে সয়াবিন দানা এবং খুচরো সয়াবিনের আগের থেকে প্রায় ৫০ টাকা সস্তা হয়েছে। এর ফলে সয়াবিন দানা এবং খুচরো সয়াবিনের দাম প্রতি কুইন্টালে যথাক্রমে ৭০৫০ থেকে ৭১৫০ টাকা এবং ৬৭৫০-৬৮৫০ টাকা হয়েছে। এদিকে সয়াবিন তেলের দামও কমেছে।
সয়াবিন দিল্লি, ইন্দোর এবং সয়াবিন ডেগামের দাম যথাক্রমে ৭২০ টাকা, ৭০০ টাকা এবং ৬৫০ টাকা সস্তা হয়েছে। এর ফলে এগুলির দাম যথাক্রমে প্রতি কুইন্টালে ১৭০৫০ টাকা, ১৬৫০০ টাকা এবং ১৫৫৫০ টাকা হয়েছে৷