সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১১ বছর ধরে বাড়ির বা’ই’রে বে’র হতে দেয়নি আইনজীবী স্বামী, অবশেষে যা হ’লো

বিয়ে মানেই যে নতুন সম্পর্ক শুরু, বিয়ে মানে যে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূত্রপাত এমনটা সব ক্ষেত্রে হয় না। বিয়ে মানে সুন্দর জীবন এমনই একরাশ আশা নিয়ে নতুন জীবনে পদক্ষেপ রেখেছিলেন এক তরুণী। বিয়ের আগে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরিও করতেন তিনি, কিন্তু বিয়ের পরেই চার দেওয়ালে বন্দী হয়ে গেলেন তিনি। স্বাভাবিক জীবন থেকে একেবারে অস্বাভাবিক হয়ে গেল তার জীবন।

এমনটা কেবলমাত্র কল্পনাতেই সম্ভব, কারণ রুম নামে একটি হলিউডের ছবি এসেছিল যেখানে দেখা গেছে ৭ বছর বন্দি ছিল একটি মেয়ে, কিভাবে তার জীবন ধীরে ধীরে অন্ধকূপের মধ্যে অতিবাহিত হতে থাকে। চার দেওয়ালে বন্দি জীবনে সন্তানও জন্ম দেয় সে, যে সন্তান জন্ম হওয়ার পর খোলা আকাশটা পর্যন্ত চোখে দেখে নি। এইসমস্ত কিছুই তো কল্পনা।

কিন্তু এই ঘটনা সামনে আসার পর দেখা যাচ্ছে, এমনটা শুধু কল্পনাতেই নয় বাস্তবেও হয়ে থাকে। কারণ এক নারী চারদেওয়ালের মধ্যে আটকা থেকেই নিজের জীবনের এক দশক সময় কাটিয়ে ফেলেছে। শুধু তাই নয় তার ওপরে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন একের পর এক সময়ে অত্যাচার করে গেছে তার ওপরে।

আরো খবর: মতুয়ার মন পে’তে ঠাকুরনগরের মেলা উপলক্ষ্যে বি’শে’ষ ট্রেনের ব্যবস্হা করলো কেন্দ্র

জানা গেছে সাই সুপ্রিয়া নামের ওই তরুণী অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার বাসিন্দা, তার বিয়ে হয়েছিল ২০০৮ সালে ভিজিয়ানগরমের গোদাবরী মধুসূদনের সাথে। মেয়েটির স্বামী ছিল আইনজীবী, বাইরে সে হয়তো মানুষকে ন্যায় দিয়ে বেড়াত কিন্তু নিজের স্ত্রীকেই তার যোগ্য মর্যাদা সে দিত না।

মেয়েটির বাড়ির লোকও দেখা করতে যেতে পারত না তার মেয়ের সাথে। কিন্তু সমস্ত ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যেতেই মেয়ের বাড়ির লোক দারস্হ হয় পুলিশের। পুলিশকেও একটা সময় বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

তারপর সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করে আদালতের সাহায্যে মেয়েকে উদ্ধার করে তার বাড়ির লোকজন। আর সাথে মেয়ের শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের ওপরে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও করেন মেয়ের বাড়ির লোকেরা।