সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই বছরেই নতুন করে মহা’বি’প’র্য’য় নেমে আসবে বিশ্ব জু’ড়ে! নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে চি’ন্তা

বহু যুগ আগেই বিখ্যাত ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা নস্ত্রাদামুস তাঁর “লে প্রফেসি” নামের একটি বইতে বিশ্ববাসীর জন্য একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। যেগুলির মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ প্রতি বছর সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়।

নস্ত্রাদামুসের করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণীগুলির মধ্যে হিটলারের শাসন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ফরাসি বিপ্লবের মত ঘটনাগুলিও স্থান পেয়েছে। এমনকি, ২০২১ সালের জন্য, তিনি মহামারী ও দুর্ভিক্ষের মতো ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

এদিকে, ঘটনাচক্রে ওই বছরে করোনার মারণ প্রভাব বজায় ছিল। নস্ত্রাদামুস ১৫০৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। পাশাপাশি, তিনি মারা যান ১৫৬৬ সালের ২ জুলাই। এদিকে, তিনি চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২২ সম্পর্কেও একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যেগুলি জানার পর চমকে যাবেন সকলে।

আরো পড়ুন: ৩৩ সেকেন্ডের গা ছ’ম’ছ’মে ভিডিও, বে’ড়ে’ই চলেছে ভিউ, দেখবেন না’কি?

নস্ত্রাদামুসের বিস্ফোরণের ভবিষ্যদ্বাণী:-

নস্ট্রাদামুস ২০২২ সাল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণীতে জানিয়েছিলেন যে, এই বছরে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এবং সেই কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটবে। শুধু তাই নয়, এই বিস্ফোরণের ফলে পৃথিবীর অবস্থাও বদলে যেতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

নস্ট্রাদামুস ৫০০ বছর আগে ২০২২ সাল সম্পর্কে মুদ্রাস্ফীতির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, এই বছর জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এছাড়াও, মার্কিন ডলারের দামও কমবে।

সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ২০২২ সালে মানুষ সোনা, রূপো এবং বিটকয়েনে আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করবে। নস্ট্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, চলতি বছর গ্রহাণুর দ্বারা পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেছিলেন যে, সমুদ্রে একটি বড় পাথর পড়ার ফলে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আরো পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্স আর নি’য়ে নি’তে পারবে না পুলিশ, নি’র্দে’শ হাইকোর্টের

তিনি ফ্রান্স সম্পর্কেও নস্ট্রাদামুস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন এই বছর ফ্রান্সে একটি বড় ঝড় হবে। যার কারণে বিশ্বের বহু অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছাড়াও খরা এবং বন্যা পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।

নস্ট্রাদামুস তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীতে জানিয়েছেন, ২০২২ সালে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর শান্তি ফিরবে। কিন্তু এই শান্তির আগে পুরো পৃথিবী মোট ৩ দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবে।