সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অফিসে দু’র্গ’ন্ধে’র জন্য বাড়ি থেকে ট’য়’লে’ট পেপার থেকে যা’চ্ছে’ন টুইটারের কর্মীরা, কিন্তু কে’ন?

এখনো পর্যন্ত যত গুলি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো টুইটার। এই টুইটার ব্যাবহার করেন হাজার হাজার লোক। আর সেই টুইটার কোম্পানির কিনা সামান্য টয়লেট পরিষ্কার করার মতো টাকা নেই বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাটা বিশদে বলে যা জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে টুইটার (সংস্থাকে কিনে নেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। আর এনি টুইটারের খরচ কমাতে উঠে পড়ে লেগেছেন।

জানা যাচ্ছে অক্টোবর মাসে মালিকানা অধিগ্রহণ করার পরই তিনি টুইটারকে লাভজনক বানাতে ও সংস্থার পরিচালনের জন্য খরচ কমাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরমধ্যে অন্যতম ছিল ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই। যারা ছাঁটাইয়ের পরও সংস্থায় টিকে গিয়েছেন, তাঁরাও জানিয়েছেন, উদ্ভট বিভিন্ন নিয়ম মানতে বাধ্য করাচ্ছেন মাস্ক। তুলে নেওয়া হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। টুইটারের অফিসগুলির ভাড়াও দিচ্ছেন না ইলন মাস্ক বলে জানা গেছে।

তবে এই অব্দি ঠিক থাকলেও এরপর যে তথ্য সামনে এসেছে, তা শুনে চোখ কপালে ওঠার জো। জানা গিয়েছে, টুইটারের সান ফ্রান্সিসকো অফিসে যারা কাজ করেন, তারা বাড়ি থেকে টয়লেট পেপার নিয়ে আসছেন। কারণ সেই অফিসে বাথরুম পরিষ্কার করার মতো কেউ নেই।

আরো খবর: পঞ্চায়েত ভোটে পাখির চোখ! মমতার ন’য়া কর্মসূচি “দিদির সুরক্ষা কবচ”

এতো বড়ো ও জনপ্রিয় একটা সোশ্যাল মিডিয়া হয়েও তাদের এমন দুরবস্থার কথা মোটেই সন্মান জনক নয়। জানা গেছে, খরচ কমানোর জন্যই ইলন মাস্ক টুইটারের সদর দফতরের জ্যানিটর বা সাফাইকর্মীদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। কারণ সাফাই কর্মীরা তাদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। আর তাতে ইলন সকল সাফাই কর্মীকে তাড়িয়ে দেন।

আর সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। সানফ্রান্সিসকোর অফিসের বাথরুম গুলোয় এত নোংরা যে যাওয়া যাচ্ছে না। টয়লেট পেপার বদলের মতো একজন লোকও না থাকায়, তারা বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকেই নিজেদের ব্যবহারের জন্য টয়লেট পেপার আনছেন। ডাস্টবিন গুলো থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।

সপ্তাহের পর সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বাথরুম পরিষ্কার করার মতো কেউ নেই। অফিস এতটাই নোংরা হয়ে গিয়েছে যে অফিসের চারটি তলের বাথরুম বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বর্তমানে মাত্র দুটি বাথরুম খোলা রয়েছে কর্মীদের ব্যবহারের জন্য।

এছাড়াও যারা ওই অফিসে কাজ করছেন এখনও তারাও জানিয়েছেন অফিসের দুরবস্থার কথা। দুম দাম যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছে মাস্ক আর তাতে স্টাফ দের মত অসুবিধে হচ্ছে দেখার প্রয়োজনও নেই।