সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

১০০ দিনের কাজের টা’কা নিয়ে ন্যায়পালদের ত’দ’ন্ত করার নি’র্দে’শ কেন্দ্রের

বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নায় বসেছিলেন। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘‘আমার দল বাংলার শাসন ক্ষমতায় আছে। এর মানে মানুষের কাছে আমার ও আমাদের দলের দায়বদ্ধতা আছে। সরকারের থেকেও আমার তৈরি করা দল আমার কাছে অনেক বড়…।

’’বাংলার প্রতি কেন্দ্রের করা আর্থিক বঞ্চনার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘যারা দিন আনে দিন খায় তাদের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। তাদের হয়ে সবসময় ধর্নায় বসব আমি।”বাংলার প্রাপ্য বয়েকা টাকার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি।

বিভিন্ন যৌথ প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে মোটা টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের।এমনকি ১০০ দিনের কাজে বিপুল টাকাও এসে পৌঁছয়নি এখনও। এই অবস্থায় রাজ্যের ভাড়ার শূন্য হয়ে গেছে। বাংলার উন্নয়ন থমকে গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে বিজেপি রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে। অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি বাংলার শাসক দল কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে নিজেদের সরকারের নামে প্রচার করেছে।

আরো খবর: আজ পয়লা মে, দেখে নিন কি বলছে আপনার রাশিফল (01.05.2023)

বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে কাটমানি নিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সবেতেই গোলযোগ রয়েছে।।এই কারণেই বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে, একশো দিনের কাজে নজরদারি চালাতে প্রত্যেকটি জেলায় একজন করে ন্যায়পাল নিয়োগ করেছে রাজ্য।

এমনকি দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে যেখানে ওই এলাকার সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং গত নির্বাচনে তাঁদের প্রধান বিরোধী দলের নেতা থাকবেন।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশ অর্থহীন বলেই মনে করছেন। কারণ, রাজ্যের তহবিলে টান পড়েছে। থমকে রয়েছে ১০০ দিনের কাজ। এই আবহে বরাদ্দ আটকে থাকায় ১০০ দিনের কোনও কাজই হচ্ছে না। সুতরাং নতুন করে অভিযোগ আসার তো কোন প্রশ্নই নেই!‌