সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উইল স্মিথের স্ত্রীকে নিয়ে ক’টু ক’থা সঞ্চালকের, স্টেজে উঠে চ’ড় মা’র’লে’ন অভিনেতা

পুরস্কার একাডেমিতে রসিকতা করা নতুন কোন ব্যাপার নয়। বহুবার আমরা দেখেছি বলিউডের কিং খান শাহরুখ খান বহু অভিনেতাকে নিয়ে রসিকতা করেছেন পুরস্কার বিতরণী সভায়। এই একই কাজ হলিউডের পুরস্কার বিতরণী সভাতেও হয়।

কিন্তু এবার রসিকতা করতে গিয়ে শাস্তি পেতে হল সঞ্চালককে। 94 তম একাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা করতে গিয়ে শাস্তি পেতে হল সঞ্চালক কমেডিয়ান ক্রিস রককে। সোজাসুজি অস্কারের মঞ্চে উঠে গিয়ে সঞ্চালক কমেডিয়ানকে চড় মেরে দিলেন উইল স্মিথ।

এক মুহুর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় কোটি কোটি দর্শক। কিন্তু কেন এত খানি ক্ষুব্দ হয়ে গেলেন উইল? আসলে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ক্রিস নানা ধরনের রসিকতা করেছিলেন। তার মধ্যে হঠাৎ করে স্মিথের স্ত্রী হয়ে ওঠেন রসিকতার কেন্দ্রবিন্দু। সঞ্চালনা করতে করতে ক্রিস বলে উঠেন, আমি জিআই জেনের সিক্যুয়েলের অপেক্ষায় রয়েছি।

আরো পড়ুন: গার্লফ্রেন্ড দামিনীর সঙ্গে জু’টি বেঁ’ধে সিনেমায় নামছেন শ্রাবন্তী পুত্র অভিমুন্য

দর্শক আসনে সামনের সারিতে বসে থাকা সিমথের স্ত্রী জাডা পিংকেট ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তার মুখের ভঙ্গি দেখে তা বোঝা যায়। এরপর এই আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান স্মিথ। এগিয়ে যান মঞ্চের দিকে।

কোন বাক্য ব্যয় না করে ডান হাতে সপাটে ক্রিসের গালে চড় মেরে দেন। আচমকা এই আঘাত পেয়ে হকচকিয়ে যান ক্রিস।নিজের আসনে ফিরে চিৎকার করে ক্রিস আরো একবার বলে ওঠেন, নিজের নোংরা কথা থেকে আমার স্ত্রীকে দূরে রাখবে।

এর আগেও একই ভাবে একই মানুষকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন সঞ্চালক। এবারও তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তিনি রসিকতা করছেন। কিন্তু এবার স্মিথকে আর থামানো যায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের একটি সিনেমা জি আই জেন, সিনেমায় মাথায় চুল কম থাকার জন্য বিস্তর চর্চা করা হয়েছিল অভিনেত্রীকে নিয়ে। স্মিতে স্ত্রীর মাথার চুল কম। অনেকটা মুণ্ডন এরপর চুল গজালে যেমন হয় ঠিক তেমন।

আরো পড়ুন: বি’স্ম’য়’ক’র! মানুষের র’ক্তে এই প্রথম পাওয়া গে’লো মাইক্রো প্লা’স্টি’ক

সঞ্চালক তাই জাডাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাকে নায়িকার ভূমিকায় অবশ্যই দেখতে চাই জি আই এন সিনেমার দ্বিতীয় পর্যায়ে। কিন্তু স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে এইভাবে রসিকতা করাতে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন স্মিথ।

এই রোগের নাম অ্যালোপশিয়া। এটি কোন বিরল রোগ নয়। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রত্যেকদিন একশটি করে চুল পড়ে যায় ওই রোগীর। মাথার তালু থেকে যত চুল পড়ে, তাতে চুল আর একবার গজিয়ে যায় কিন্তু অনুপাত সমান হয় না তাই চুল পাতলা হয়ে যায়।

অত্যাধিক চুল পড়ার কারণে সেই মানুষের মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই রোগের সৃষ্টি হয় ঘুম কম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শারীরিক অসুস্থতা এবং জল কম খাওয়া হলে।এই রোগ বংশগত অথবা পারিপার্শ্বিক কারণে হতে পারে।