সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকার এখন আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তিনি অমর হয়ে থাকবেন তার সুরেলা সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মধ্যে সারা জীবন। ৯২ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন, কিন্তু তার অজস্র সৃষ্টি রয়ে গেল আমাদের মাঝে, তার উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য। কয়েক দশক ধরে এই সুরের রাজত্বে, রাজত্ব করে গেছেন তিনি। আর তার এই সৃষ্টিকলা, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ ও শিক্ষনীয় বস্তু হিসেবে থাকবে সারাজীবন।
তার এই চলে যাওয়ার পর, অনেকেই অনেক স্মৃতি তুলে ধরেছেন সবার সামনে। লতা মঙ্গেশকর জির সাথে, অনেকেই অনেক ছবি শেয়ার করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্মৃতিচারণা করা নিয়ে পিছিয়ে নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। আমরা আগেই জানতাম, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও লতা মঙ্গেশকারের মধ্যে খুবই আন্তরিকতা ছিল।
আর সেই আন্তরিকতায় ফুটে উঠেছে তাদের কথার মাধ্যমে। কারণ মানকি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সাথে ফোনে কথা বলেছিল। আর সেখানেই উঠে এসেছে তাদের স্মৃতিচারণা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী কিরেন রিজিযু তাদের এই কথোপকথন টুইট করেছিল।
আরো পড়ুন: তাওয়াংয়ে তুষারঝড়ে নি’খোঁ’জ জওয়ানদের এখনো খুঁ’জে পে’লো না সেনার হেলিকপ্টার
সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল। এই কথোপকথনই ছিল তাদের মধ্যে শেষ কথোপকথন। সেখানে শোনা যায় ,প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি সময় পেলে সুযোগ পেলে মুম্বাইয়ে গিয়ে লতা দিদির হাতের রান্না খাবেন। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হলো না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা যাওয়ার আগে মানকি বাত অনুষ্ঠানে শেষ লতামঙ্গেসকারের সাথে কথা বলেন, আর সেখানেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তাকে। ওদিক থেকে দারুন আপ্লুত হয়ে ওঠে লতামঙ্গেসকার। তিনি জানান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে, আপনার ফোন আসার খবর শুনে আমি দারুন উৎসাহিত হয়েছি। আপনি যে এত ব্যস্ততার মধ্যেও আমার সাথে কথা বলছেন এটাই অনেক বড় কথা। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ, তবে আমি আজকের দিন টা হয়তো পরিবারের সাথে কাটাবো।
আরো পড়ুন: পরলোক গমন করলেন মহাভারতের ভীম, শো’কে’র ছা’য়া সিনে জগতে
এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রীর কাজের প্রশংসাও করেন তিনি। তিনি জানান,প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী দেশের পরিবর্তনের বিষয়টিতে অনেকটাই সময় দিয়েছে। এতে তিনি দারুণ খুশি। প্রধানমন্ত্রীর থেকে তিনি আশীর্বাদও চেয়েছেন, এখানে প্রধানমন্ত্রী তার থেকে বয়সে ছোট হওয়ার কথা বলতেই তিনি বলেন। আসলে বয়সে বড় হওয়াটাই বড় নয়, কাজের মাধ্যমে যে বড় তার কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়াই যায়।
তাহলে এই সরলতা, একেবারে মাটির মানুষ হওয়া সফলতার লক্ষণ বলে ধরা হয়। এই সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, আজীবন এই সফলতা ধরে রাখবে তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।।