সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কেন্দ্রের নি’য়’ম মেনেই ১০০ দিনের কাজ করতে হবে, নি’র্দে’শ জা’রি করলো নবান্ন

১০০ দিনের কাজ যার এখন কোন দাম নেই কারণ যে কাজ করলেও টাকা পাওয়া যায় না। একটা সময় গরিব মানুষের কাছে ১০০ দিনের কাজ বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছিল কিন্তু আজ সব প্রাধান্যই ফিকে হয়ে গেছে, কারণ বহুদিন ধরে এই প্রকল্প চালু হলেও ১০০ দিনের কাজের টাকা এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। মোদি সরকার এবার বাংলার জন্য কোন শ্রম দিবস এর টার্গেট বরাদ্দ করে নি যার ফলে প্রচুর শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছে।

কিন্তু নবান্ন এ বিষয়ে কিন্তু একদমই হতাশাগ্রস্ত নয়, তারা জানিয়েছেন, যে কেন্দ্র যদি টাকা দেয় তাহলে অবশ্যই সমস্ত নিয়ম মেনে আবার ১০০ দিনের কাজ শুরু করা হবে। সে বিষয়ে এবার জেলাকে সতর্ক করে দিল পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর। এ বিষয়ে সোমবারই একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। কি বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়?

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে নিয়ম যদি ভাঙ্গা হয় তাহলে তার দায় থাকবে জেলা স্তরের প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন এজেন্সির ওপর। নিয়মবহির্ভূতভাবে যদি কোন টাকা খরচ হয় তবে সেটাও ফেরত দিতে হবে, ১০০দিনের কাজ এবং মুখ্যমন্ত্রীর দাবি খুব শিগগিরই কেন্দ্র মানতে চলেছে।

আরো পড়ুন: বিশ্বের একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার যা’র ভারতে আ’স’তে ভিসার দরকার প’ড়ে না, চিনে নিন তাকে

কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল জেলা পরিদর্শন করছেন গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বিভিন্ন ব্লগ স্তরে কি কাজ হয়েছে সেগুলো দেখছেন, যার জন্য সমস্ত কিছু ভেবেই কাজ করে যেতে হবে। এই নির্দেশিকা রয়েছে উপভোক্তার জব কার্ড পঞ্চায়েত আধিকারিক বা সদস্যর কাছে থাকবে না। তথ্য নেওয়িরর জন্য যদি জব কার্ড নেওয়া হয়ে থাকে তা অবশ্যই ফেরত দিয়ে দিতে হবে।

১০০ দিনের এই কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেক গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছে সাতটি রেজিস্টার খাতা রাখতে হবে, যেগুলিতে গ্রামসভা কাজের চাহিদা, পেমেন্ট, অভিযোগ, সরঞ্জাম সংক্রান্ত তথ্য রাখতে হবে। ডিসেম্বর থেকে ১০০ দিনের কাজের মজুরি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত আটকে রেখেছে।

খবর সূত্রে জানা গেছে জেলা শাসকের কাছে পঞ্চায়েতের বিশেষ সচিব পদমর্যাদার এক আধিকারিক চিঠি লিখেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্র ১০০ দিনের জন্য যে কাজের তালিকা তৈরি করেছে সেটাই করতে হবে, তার বাইরে যদি কোন কাজ করা হয় তাহলে সেটা বেয়াইনী হবে।

সেই সমস্ত জায়গায় কাজ করতে হবে যেখানে যে প্রকল্পের নাম এবং বিভিন্ন তথ্য লেখা থাকবে। সিটিজেন ইনফরমেশন বোর্ড লাগাতে হবে নিয়ম অনুযায়ী এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পলি তোলার মতো কাজে আগ্রহ না দেখাতে। কাজ যারা করবেন তাদের অবশ্যই থাকতে হবে এই মাস্টাররোল যার ভিত্তিতে মজুরির পে অর্ডার ইস্যু করা হবে।