সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রে উ’ড়ে গেলো উপগ্রহ, মহাকাশ স্টেশন ছে’ড়ে প্রা’ণ বাঁ’চা’লে’ন মহাকাশচারীরা

শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণে গুঁড়িয়ে গেল মহাকাশের কৃত্রিম উপগ্রহ। এই ঘটনার জেরে কৃত্রিম উপগ্রহটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সেই টুকরোগুলি ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে 27 হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগ নিয়ে ছুটতে শুরু করে পৃথিবীর কক্ষপথ বরাবর। এ ঘটনার জেরে চরম বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল মহাকাশে গবেষণারত সাতজন মহাকাশচারীকে। কোনোমতেই প্রাণ বাঁচাতে তারা উঠে বসেন পৃথিবীতে ফেরার জন্য অপেক্ষারত মহাকাশযানে।

কাউকে কিছু না জানিয়েই সোমবার পরপর চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে রাশিয়া। যার ফলে ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে 40 বছর বয়সী ওই উপগ্রহ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এই টুকরোগুলি মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। একটু এদিক-ওদিক হলেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। মহাকাশচারীদের নিয়েই দাউদাউ করে জ্বলে উঠতে পারত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। হিউস্টনে নাসার মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পেয়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তৈরি হয় মহাকাশচারীদের মধ্যে। আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা)-র মহাকাশচারীরা প্রাণ বাঁচাতে তখন কোনরকমে পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইছেন।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’-এর উপগ্রহ বিধ্বংসী পরীক্ষা (‘ডাইরেক্ট অ্যাসেন্ট অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্ট (ডিএ-এস্যাট)’-র জন্য ঘটে যায় এমন ঘটনা। এমন একটি ঘটনা ঘটার আগে রাশিয়া একবারের জন্যেও মহাকাশচারীদের সতর্ক করেনি।‌ এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করছে বিভিন্ন রাষ্ট্র।