সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় স্বামীর অ’ক’থ্য অ’ত্যা’চা’র, সুইসাইডের চেষ্টা বধূর! ত্রা’তা একজন মহিলাই

কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কারণে স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার হতে হতে শেষ মেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন গৃহবধূ। যদিও তার সেই প্রচেষ্টা বিফল হয়েছে। তাকে বাঁচিয়ে নিয়েছেন অপর এক মহিলা।

ভালোবেসে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সুপ্রিয়া দাস নামের এক তরুণী। তবে বিয়ে করার বছর দেড়েকের মধ্যেই সংসারে শুরু হয় অশান্তি। কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কারণে স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে।

শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। অন্যদিকে বাপের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার রাস্তাও ছিল বন্ধ। অগত্যা দেড় মাসের সন্তানকে বুকে নিয়ে ‌ গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

আরো পড়ুন: চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে জুনেই S-400 মো’তা’য়ে’ন করতে পা’রে ভারত, দা’বি আমেরিকার

ঘটনাস্থলে উপস্থিত চায়ের দোকানের একজন মালকিন তাকে বাঁচিয়ে নেন। যতদূর জানা যাচ্ছে, সুপ্রিয়া দেবীর মা এবং বাবা অনেক দিন আগে মারা গিয়েছেন। তিনি তার ঠাকুমার কাছে বড় হচ্ছিলেন। তার এক ভাই আছে।

কয়েক বছর আগে ফোনের মাধ্যমে সুমন্ত দাস নামের এক যুবকের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। পেশায় তিনি ছিলেন একজন মোটর ভ্যান চালক। দেড় বছর আগে প্রেম করে তারা বিয়ে করেন।

তবে সুপ্রিয়ার ঠাকুমা এবং ভাই এই বিয়েতে মত দেননি। বিয়ের পর আর বাপের বাড়িতে যাতায়াত ছিল না তার। সদ্য কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সুপ্রিয়া। মেয়ের জন্মের পর থেকেই তার স্বামীর ব্যবহার বদলে যায়।

খুটিনাটি বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তার স্বামী তাকে মারধর করেন। বুধবার সকালেও চলে অত্যাচার। এরপর মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুপ্রিয়া। বাপের বাড়িতে গেলে ভাই তাকে পরিষ্কার বাড়ি থেকে বের করে দেন।

সুপ্রিয়া এরপর গঙ্গায় আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তাকে শেষমেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে চায়ের দোকানের মালকিনের কারণে। সুপ্রিয়া এখন আর তার স্বামী কিংবা বাপের বাড়িতে ফিরে যেতে চান না। একটা কাজ জোগাড় করে নিয়ে মেয়েকে বড় করতে চান। চায়ের দোকানের ওই মালকিন পুতুল সর্দার তার পাশে রয়েছেন।