সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হীরক রাজার দেশ সিনেমার শ্যুটিংয়ে সত্যিকারের বাঘের মু’খে পড়েছিলেন রবি ঘোষ! এরপর কি হয়েছিল?

বাংলা চলচ্চিত্রের মজার অভিনয় পারদর্শীদের কথা মনে পড়লে যে নামটা সব সময় মনে পড়ে সেটা হলো বাংলার আইকনিক রবি ঘোষের কথা। মানুষটা র ক্যালমাই অন্য ছিল। তবে এই অভিনয় জগতে তার আসার পিছনে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। নিজের বাবার কাছে তাজ্য হয়েছিলেন তিনি। তার বাবা যখন শুনেছিলেন যে রবি ঘোষ অভিনেতা হতে চায়, তিনি তাঁকে বিদ্রুপ করেছিলেন।

বলেছিলেন, “এমন চেহারায় অভিনয় করবে? ‘ওঁর তো চাকর বাকর ছাড়া কোন‌ও পার্ট জুটবে না।’ এসব সময় নষ্ট। বরং জোর করে চাকরিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন তিনি।” কিন্তু বাবার কোথায় ভেঙে না পড়ে বরং আরো বেশি করে নায়ক থিয়েটারে মন দিয়েছিলেন তিনি। আর তাই তো তার বাবা শেষ অবদি তাকে তাজ্য করেন। তবে এতে সে দুঃখ পায়নি।

বরং আরো বেশি নাটক দেখতে যেতেন। করতেন নাটক। উৎপল দত্তের নাটকের সাথেও যুক্ত ছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই তার কাছে প্রথম ব্রেক আসে। জানা যায়, উৎপল দত্তের নাটক দেখেই ‘অভিযান’-এর জন্য রবি ঘোষকে নির্বাচিত করেন বাংলা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচালক সত্যজিৎ রায়।

আরো খবর: অমিতাভ বচ্চন না থাকলে আমজাদ খানের অনেক আগেই মৃ’ত্যু ঘ’ট’তে পারতো! জানুন কা’হি’নী

আর এই তিনজন যুক্ত হলে অবধারিতভাবে মাথায় নাম আসে হীরক রাজার দেশে’র। এই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য সবাই গেছেন মাদ্রাজ। চলছে ‘পায়ে পড়ি বাঘ মামা’ গানটির টেক। হিরে নেওয়ার জন্য ঘরে ঢুকেই দাঁড়াতে হলো গুপী, বাঘাকে। কারণ ভেতরে পাহারায় স্বয়ং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার! সিনেমায় গানের জোরে তাকেও শান্ত করে দেন ‘গুপী’ তপেন চট্টোপাধ্যায়।

কিন্তু বাঘকে শান্ত করা কি যা তা কথা। এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় বাঘটির মাদ্রাজি ট্রেনার বলে দিয়েছিলেন, ভিজে তোয়ালে বুলিয়ে ‘উম্মা’ বলতে হবে। তাহলেই শান্ত থাকবে বাঘটি! দায়িত্ব নিয়েছিলেন জিমন্যাস্ট রবি ঘোষ। দিব্যি হাত বোলাচ্ছিলেন; হঠাৎ একসময় ‘উম্মা’ বলতে গিয়ে তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় ‘উমা’!

আর এই এক কথাতেই নিজের প্রাণ হারাতে বসেছিলেন রবি ঘোষ। আর তাতেই হয় সর্বনাশ। সেই বাঘ তখন তর্জন গর্জন করে উঠে পড়ে । চোখে রীতিমতো অন্ধকার দেখেন অভিনেতা। তবে বাঘটির ট্রেনার কাছাকাছি ছিলেন বলে সেই যাত্রায় প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর। নয়তো সেটাই হয়তো তার শেষ ছবি হতে পারত।