সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অমিতাভ বচ্চন না থাকলে আমজাদ খানের অনেক আগেই মৃ’ত্যু ঘ’ট’তে পারতো! জানুন কা’হি’নী

রমেশ সিপ্পির পরিচালনায় অমিতাভ বচ্চনের “সোলে” মুভির কথা আমরা সকলেই জানি। এটি বলিউডের এটি একটা কালজয়ী সিনেমা। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই অগাস্ট মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এই সিনেমা। সময় অনেক এগিয়ে গেলেও এই সিনেমার চরিত্র ও ডায়ালগ সবার মনে দাগ কেটে যায় আজও। তবে এই সিনেমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন চরিত্র ‘ গব্বর ‘ অর্থাৎ আমজাদ খান সিনেমার ভিলেন হলেও বাস্তবে খুব ভালো মানুষ তিনি।

তাঁর সাথে অমিতাভ বচ্চনের বন্ধুত্ব ছিল খুব। আর তাই তো সব চেয়ে বিপদের দিনে আমজাদ পাশে পেয়েছিলেন তার এই পরম বন্ধু অমিতাভ বচ্চনকে। কিভাবে সাহায্য করেছিলেন সেই গল্প বলতে গেলে বলতে হবে ১৯৭৯ সালে গ্রেট গ্ল্যামবার ছবিতে একই সঙ্গে কাজ করছিলেন এই দুই অভিনেতা।

একদিন ছবির শুটিংয়ের জন্য ট্রেন বা প্লেন কোনটাই ধরতে না পেরে গাড়িতে গোয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আমজাদ খান। অবশ্য অভিনেতা একা নয়, গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা। কিন্তু গোয়া পৌঁছানোর কিছু আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অভিনেতার গাড়ি। ‌‌ফলে মারাত্মক ভাবে জখম হয় গোটা পরিবার।

আরো খবর: আপ্যায়নে কোনো খা’ম’তি নেই, ৩৭৯ রকমের পদ দিয়ে জামাই আ’দ’র করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের দম্পতি

তবে শারীরিক ভাবে সবচেয়ে বেশি জখম হন আমজাদ খান। দুর্ঘটনা ঘটার পর স্থানীয় লোকেরা অভিনেতা ও তাঁর পরিবারকে গোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিবারের বাকি সদস্যদের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আমজাদ খানের ব্যাপক পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। যে কারণে অভিনেতার শরীরে ব্যাপক পরিমাণে রক্তের ঘাটতি হয়ে গিয়েছিল।

এই সময়ে এই খবরটি পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন অমিতাভ। আমজাদ খানের শারীরিক অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে হাসপাতালের কাগজে সই পর্যন্ত করতে রাজি হননি কেউ, সেই সময় অমিতাভ বচ্চন বন্ধু হিসেবে সেই কাগজে সই করেন এবং চিকিৎসকের থেকে জানতে পারেন তাঁর সহ-অভিনেতা তথা বন্ধু’র ব্যাপক পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এরপর কঠিন সময় ভগবানের পাঠানো দ্যুতের মত বন্ধুকে রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচান অমিতাভ বচ্চন। আর পরে ডাক্তারদের থেকে জানা যায় সেই সময় রক্ত দিয়ে না বাঁচালে মৃত্যু অব্দি হতে পারত আমজাদের।

এই গোটা ঘটনার কথা একসময় আন্নু কাপুর রেডিওতে খোলসা করেছিলেন। এমনকী ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে এই ঘটনার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন নিজেই।