সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পুরী জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালের একাংশ ভে’ঙে ধ’সে পড়লো, কোনো কি অশুভ ইঙ্গিত?

হঠাৎ করেই মঙ্গলবার গভীর রাতে ভেঙ্গে পরল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরের একাংশের দেওয়ালের থেকে প্লাস্টার। এর আগে মন্দিরের গর্ভগৃহের একটি দেওয়াল ধসে পড়ে ছিল। মন্দিরের গর্ভগৃহে এক এক করে দেওয়াল ফেটে যাওয়া, প্লাস্টার ধসে পড়ে যাওয়া, উনুন ভাঙচুর সমস্ত কিছুর মধ্যেই এবার ভক্তরা খুঁজে পাচ্ছেন অশুভ ইঙ্গিত‌।

ভক্তদের মনে আশঙ্কা জমেছে তাহলে কি প্রাচীনকালের এই মন্দিরের উপর কোন অশুভ ছায়া বিরাজ করছে? ইতিমধ্যেই জগন্নাথ দেবের মন্দির রক্ষার্থে সমস্ত ভক্তরা প্রার্থনা করছে। কিন্তু প্রশ্ন ভক্তদের মনে এই ধরনের ধারণা কেন আসছে? তবে এই বিষয় নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।

খবর সূত্রে জানা গেছে জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন সিংহাসনের কাছের অন্দরে বিপত্তি হয়েছে। দেয়ালে থাকা প্লাস্টারের একাংশ ধসে পড়েছে যার, ফলে মন্দিরের ভিতরের অংশের ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশ এই ভাঙ্গা প্লাস্টার ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই প্লাস্টারের ওজন জানা গেছে প্রায় দেড় কেজি।

আরো পড়ুন: সব মাছ ভুলে যান, শুধু ইলিশ খান! কলকাতায় আজকেও ব্যা’প’ক সস্তা ইলিশ

কিন্তু উল্টো দিকে মন্দির কমিটির তরফ থেকে বলা হচ্ছে এটি প্লাস্টার নয় বরং লাইমস্টোনের অংশ। এই মতবিরোধের জন্য পুলিশ গোটা বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে প্রায় ২৪০ টি উনুন আছে,যাতে হাজার পুণ্যার্থীদের জন্য মহাপ্রসাদ রান্না করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতী জগন্নাথ মন্দিরের ঢুকে ৪০টির বেশি উনুন ভেঙে দিয়েছে। চলতি বছরের রথ যাত্রার পরের দিনই ভাঙচুর হয় গুন্ডিচা মন্দিরের রান্নাঘরে। প্রায় ২০টি উনুন ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটার ফলে ভক্তদের মনে আশঙ্কা জন্মিয়েছে যেকোনো অমঙ্গলের বার্তা বয়ে আনছে এই সমস্ত ঘটনা।

অন্যদিকে বুধবার প্রায় চার ঘণ্টা ধরে পুরীর মন্দির বন্ধ রাখা হয় এই সময় কোন দর্শনার্থীরা বলরাম সুভদ্রা এবং জগন্নাথের দর্শন পাবেনা মনে করা হয়েছে এটার পিছনে একটা প্রথা আছে সেই প্রথা হল “বানাকা লাগি”। এই প্রথা অনুযায়ী এই দিন ৪ ঘন্টা ধরে ১২ শতাব্দী মূর্তিগুলোকে সাজিয়ে তোলা হয় নতুনভাবে। সাজানোর কাজ করেন দত্ত মহাপাত্র যারা উচ্চবর্ণের সেবায়েত।