মালদার বাসিন্দা ৮৪ বছর বয়সী অমিয় চক্রবর্তী বেশ কিছু দিন ধরে পিঠ আর কোমরের ব্যথায় অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। সেখানকার চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেলেও সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই কয়েক দিন আগে অন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে তিনি মালদা থেকে বালুরঘাটে আসেন।
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক এটিকে কিডনির সমস্যা মনে করেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য অমিয়বাবুকে প্রেসক্রিপশনে বেশ কয়েকটি টেস্টের কথা উল্লেখ করেন।
চিকিৎসকের কথামতো বালুরঘাটের এক ডায়গনস্টিক সেন্টারে অমিয়বাবু আলট্রাসোনোগ্রাফিও করান। কিন্তু রিপোর্ট আসতেই ঘটে বিপত্তি। রিপোর্ট দেখে তো সকলেই হতবাক। কারণ রিপোর্টে দেখা যায় তাঁর শরীরে রয়েছে ডিম্বাশয় ও জরায়ু!
আরো পড়ুন: ভগবানকে শিবকে আদালতে ত’ল’ব! হা’জি’রা না দি’তে পারলে ১০ হাজার টা’কা জরিমানা
খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায়, ওই ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, তা পুরোপুরি ভুল। যদিও এইরকম ভুলভাল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ এর আগে আরও অনেক ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উঠেছে। তাই এই ঘটনা নতুন কিছু নয়।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা বলেন, কিছু দিন আগে আর এক ডায়গনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের জন্য এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ওই মহিলার প্রাণ সংশয় হয়েছিল।
ডায়গনস্টিক সেন্টারের তরফ থেকে সেবারেও জানানো হয়েছিল, যে ওটি ছাপার ভুল। আর এবারেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। অমিয় চক্রবর্তীর পরিবারের লোকেরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা পুরো ঘটনা স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দের বক্তব্য, সম্পূর্ণ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে, ওই সেন্টারের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
