বাঘের নাম টি-১০৪। রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যান থেকে দীর্ঘদিন ধরেই এই বাঘটিকে সরানোর দাবি উঠেছিল। এমনকি রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানে বহু বাঘের সঙ্গেই লড়াই চলত তার। প্রথমত তার পর্যটকদের আক্রমণ করার স্বভাবের জন্য, দ্বিতীয়ত অন্য বাঘেদের ভয় দেখানোর অভ্যাসের জন্য। বন মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ২০১৯ সালেই বন্দি করা হয় টি-১০৪কে। তার আগেই সে পর্যটক-সহ তিনজনকে হত্যা করেছিল।
তবে বন্দি হওয়ার পরও তার স্বভাব বদলায়নি। অনেককে এলাকা থেকে সরিয়েও দিয়েছে। এর পরই রণথম্ভোর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাঘটিকে। তাকে আপাতত কম পর্যটক অধ্যূষিত মুকুন্দ্র হিলস ব্যঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের দারা পাহাড়ি এলাকায় খাচাবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাঘটি সেখানে বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না বলে অনুমান চিফ ওয়ার্ডেনের। এ ব্যাপারে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও লিখেছেন তিনি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বন্দি হওয়ার পর রণথম্ভোরেরই ভিড় নামের জঙ্গলে থাকছিল টি ১০৪।
আরো পড়ুন: ফিল্ম মু’ক্তি’র আগেই বয়কট! এবার দর্শকদের মা’ন’সি’ক’তা নিয়ে প্র’শ্ন তুললেন “মহানায়ক” সোহম
তাকে যাবজ্জীবন খাচাদণ্ড দিয়ে নির্বাসনে পাঠানো হলে সে হবে রাজ্যের দ্বিতীয় পুরুষ বাঘ, যাকে তার স্বভাবের জন্য এলাকা থেকে দূরে পাঠিয়ে যাবজ্জীবন খাচায় বন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।