সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফিল্ম মু’ক্তি’র আগেই বয়কট! এবার দর্শকদের মা’ন’সি’ক’তা নিয়ে প্র’শ্ন তুললেন “মহানায়ক” সোহম

আগে বয়কট শব্দটা আমরা দেশের কোনো বড়ো কাজের ক্ষেত্রে শুনে এসেছি কিন্তু আজকাল দেখছি বলিউড কি টলিউড সব সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ফিল্মের উপরই পড়ছে একটা ‘ বয়কটের’ কোপ। যত ভালোই সিনেমা হোক না কেনো কোনো না কোনো ভাবে একটা ধর্মীয় অসন্তোষ দেখিয়ে দিয়ে সেটা বয়কটের ডাক দিচ্ছে দর্শকদের একাংশ। আমির খানের ‘ লাল সিং চাড্ডা’ তো স্ক্রিনিং করানোই দায় হয়ে উঠেছে বাদ যায়নি অক্ষয়কুমারের ‘ রক্ষাবন্ধন’ ও।

এখন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও বয়কটের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। বলিউডের মত টলিউডের প্রতিও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বাংলার দর্শকদের মনে। নিশানায় রয়েছে রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’। শুধু ‘ধর্মযুদ্ধ’ নয় ‘বিসমিল্লা’ও এখন বয়কটের তালিকায় নতুন সংযোজন। ধর্ম নিয়ে কোনো কথাই আজকাল বলার উপায় নেই। এই দুটো মুভিই ধর্মের প্রেক্ষাপটের সাথে প্রেমের সংমিশ্রণ দেখানো হয়েছে কিন্তু একদল মানুষ এগুলোর বিরোধিতা করেছে।

রাজ চক্রবর্তীর ‘ ধর্মযুদ্ধ’ দুই ধর্মের রেষারেষি, ধর্মনেতাদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে যে কী ব্যাপক সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টি হতে পারে, এই সন্ত্রাসের আগুনে সাধারণ মানুষকে কীভাবে বলি হতে হয়, সেই গল্পই বলতে চেয়েছেন তার ছবিতে। কিন্তু রাজের ‘ধর্মযুদ্ধ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, এখানে নাকি গীতা পড়ে মানুষের গলা কাটার কথা দেখানো হয়েছে! নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া দেখেশুনে তো রীতিমত রেগে আগুন পরিচালক।

আরো পড়ুন: ৩৮ বছর পর কফিনবন্দি হ’য়ে বাড়ি ফিরলেন বীর সৈনিক, চা’পা পড়েছিল সিয়াচেনের বরফে

রেগে গিয়ে তাকে এমনও বলতে শোনা গেলো যে ”আপনারা পাগল না ছাগল?’’, বলে প্রশ্ন তুলেছেন কিছু নেটিজেনদের।
এই ব্যাপারে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী রাজ চক্রবর্তীর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় যখন ছবি বয়কটের কথা উঠে এল তখন সোহম ঠিক এই ভাষাতেই বললেন, “রাজদা তো অনেক ভাল ভাষায় কথা বলেছে। ওরা এই ভাষারও যোগ্য নয়।” যারা বয়কটের ডাক দিচ্ছে তাদের যোগ্যতাই নেই ডাক দেওয়ার।

অনেকে তো ইচ্ছে করে এগুলো করাচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিতে ছাড়েন নি সোহম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ছবির ট্রেলার বেরোতেই মানুষজন যেভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাতে রীতিমত বিরক্ত হয়ে অভিনেতা সোহম বলেন, এইসব মানুষদের আমরা পাত্তাই দিই না। কেন ওদের সঙ্গে তর্ক করতে যাব আমরা। অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছা করে এই ধরনের কাজ করানো হয়ে থাকে।”

শুধু সোহমই নয় বলিউডের অর্জুন কাপুরও এই একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন বলিউড চুপ করে আছে ভদ্রতা করে বলেই একদল মানুষ ভেবে নিচ্ছে এরা দুর্বল। তাই সময় এসেছে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করার। তবে এনাদের এত প্রতিবাদকে গায়েই মাখছে না নেটিজেনদের একাংশ। উল্টে তাদের আরো বেশি কটাক্ষ করতে দেখা যাচ্ছে।